পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে মেয়র আতিক নিজেই ক্ষুব্ধ

সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করায় ৯টি কোরবানির পশুর হাট বসায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। করোনার ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটগুলো পরিচালনার কথা। তবে  সার্বিক চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ খোদ ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘গাবতলী হাটে এসে সার্বিক চিত্র আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। এটিই হচ্ছে সত্য কথা। এই চিত্র আপনারাও দেখছেন, আমিও দেখছি এবং জনগণও দেখছে।’ পরে তিনি প্রয়োজনে হাট বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেন।

আজ সোমবার (১৯ জুলাই) নগরীর গাবতলীতে স্থায়ী পশুর হাট পরিদর্শনে যান মেয়র। এসময় তিনি বলেন, এবছরই প্রথম উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি হাটে ৯টি এন্টিজেন টেস্ট বুথ বসানো হয়েছে। তাতে তিনজনের শরীরে করোনা ধরাও পড়েছে। এরপরও তারা উদাসীন। এটা সিটি করপোরেশনের হাটে হতে পারে না।

যেসব চুক্তি ও শর্ত অনুযায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে সেই শর্তগুলো যথাযথ পরিপালন হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন করেন মেয়র। এসময় যারা মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশ করেছেন তাদের মাঝে মাস্কও বিতরণ করেন তিনি। মাস্ক বিহীন অনেক পশু ব্যবসায়ীকে তিনি মাস্ক পরিয়ে দেন।

হাটের বাইরেও বিভিন্ন পাশে বাঁশ পোঁতা হয়েছিল। সেগুলো সিটি করপোরেশন থেকে ভেঙে দেওয়া হলেও সেখানে এখনও গরু রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যেসব জায়গার বাঁশ ভেঙে দিয়েছি সেখানেও গরু বাঁধা হয়েছে। তাতেও সমস্যা মনে করি না। সমস্যা হচ্ছে কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তোমরা (ইজারাদার) স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করো।

নিয়ম অমান্যকারীদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবো। রোজার ঈদের আগে আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় উত্তরার একটি শপিং মল বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখনও সেই ব্যবস্থা নিতে পারি।

হাটের এই অব্যবস্থাপনার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটরা রয়েছেন তারাই বলতে পারবেন। তারা কী ব্যবস্থা নেবেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তারা তাই নেবে। এসময় তিনি একটি হাসিল আদায়ের বুথের চিত্র খারাপ দেখে তাকে জরিমানা করার নির্দেশ দেন।

এবছর কোরবানি পরবর্তী সময়ে শহর পরিষ্কার করার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ হাজার কর্মী কাজ করবে বলেও এসময় জানান মেয়র। তিনি বলেন, আমিও কিন্তু মাঠে থাকবো। আমাদের কাউন্সিলররাও মাঠে থাকবেন। সব কর্মকর্তা-কার্মচারীরাও মাঠে থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা শহর পরিষ্কার করবো।