চাটাই-কাঠের গুঁড়ির বাজার মন্দা

কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণের  পসরা সাজিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বসলেও দোকানগুলোতে এবার ক্রেতার ভিড় নেই।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে  চাটাই ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে বসেছেন আজমল আলী। ৫০ পিস কাঠের গুঁড়ি নিয়ে বসলেও বিকাল নাগাদ মাত্র ৮টি গুড়ি বিক্রি করতে পেরেছেন তিনি। তবে ১০০ পিস চাটাইয়ের মধ্য বিক্রি হয়েছে ৩০টি। এবার বাজারও মন্দা বলছেন  চাটাই-কাঠের গুড়ি, খড়, ভুষি বিক্রেতারা।

প্রতি বছরই কোরবানির সময় বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বসেন কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, চাটাই, কাঠের গুঁড়ি নিয়ে। এবার এসব জিনিসের বিক্রি বিগত সময়ের চেয়ে কমেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা বলছেন, কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর কল্যাণপুরে কাঁচা ঘাস, খড় বিক্রি করছেন মফিদুর রহমান। এক আঁটি কাঁচা ঘাস ৪০ টাকা, আর খড়  বিক্রি করছেন ২০ টাকা আঁটি। সাভার থেকে এসব এনে তিনি বিক্রি করেন প্রতি বছর কোরবানির সময়। মফিদুর রহমান বলেন, সারা দিনে বেচা কেনা খুবই কম। এখনও যে পরিমাণ ঘাস ও খড় হাতে আছে তাতে টেনশনে আছি‑ শেষে রয়ে যায় কী না। লাভ হবেই না উল্টা লোকসানে পড়বো।

ফরিদপুর থেকে তেঁতুল গাছের কাণ্ড কেটে এনে বিক্রি করছেন  রাশেদুল আলম।  আকার-আয়তন ভেদে প্রতিটি ১০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। স মিলে কাজ করেন রাশেদুল, কোরবানির সময় গাছ কেটে বিক্রি করেন। রাশেদুল আলম বলেন, বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। গত বছর  ঈদের আগের দিন সকালেই সব  বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো, এবার তো সন্ধ্যা হলো, তাও সব শেষ করতে পারলাম না।

সন্ধ্যার সময় মিরপুর ২ নম্বরে কাঠের গুঁড়ি, ঘাস নিয়ে বসেছেন বিক্রেতা আজম আলী। তিনি বলেন, বেচা-বিক্রি নাই। করোনার ভয়ে অনেকে ঘর থেকে বের হয় না। গরুও তো রাস্তা দিয়ে যেতে দেখি না। গরু না কিনলে, কাঠের গুড়ি তো কেউ কিনবে না।

মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, বনানী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির আনুষঙ্গিক উপকরণের  পসরা সাজিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বসলেও মানুষের ভিড় নেই। মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে চাটাই নিয়ে বসেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি জানালেন, চাটাইয়ের সাইজ অনুসারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২০/৩০টির মতো চাটাই বিক্রি করেছি। এখনও ১০০ পিস রয়ে গেছে।