আগামীতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে: মেয়র আতিক

আগামী বছর হতে নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে অন্য কোথাও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিকালে গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসরণ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার কোরবানির প্রথম দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় তিন লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭২টি নির্ধারিত স্থানে মাত্র ৪ হাজার ১ শ ৪১টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহায় যত্রতত্র পশু কোরবানি করা থেকে বিরত রাখার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রয়োজনে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাত ১২টার মধ্যেই ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় কোরবানির ১ম দিনের ১১ হাজার ৯ শত ৩৫ মেট্রিক টন বর্জ্যের শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কোরবানির পশুর হাটের পাশেই স্লটারিং হাউজ (পশু জবাই ও মাংশ কাটাকাটির স্থান) করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫ শ ৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দিয়ে যেন নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, পরীক্ষামূলকভাবে পরিবেশসম্মত ও পচনশীল আরও ২০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের ১ হাজার ৫ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।