ঈদ শেষে লকডাউন উপেক্ষা করে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

ঈদ শেষে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল রয়েছে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে। কঠোর লকডাউন শুরু হলেও তা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আসছেন মানুষ।

এর আগে লকডাউন শিথিল হলে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে তারা গ্রামে গিয়েছিলেন। ফিরতি পথে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও রাজধানীতে ফিরে আসছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে গাবতলী ব্রিজ এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় রাজধানীমুখী মানুষের ঢল। দূরপাল্লার বিভিন্ন বাস‑ যেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেড়েছিল সেগুলোও একে একে রাজধানীতে ঢুকছে। তবে বাস টার্মিনালে ঢোকার আগেই গাবতলী ব্রিজের পাশে যাত্রী নামিয়ে পুলিশ খালি বাসগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছে বাস টার্মিনালে।

গাবতলী ব্রিজের আগেই রাজধানী ফেরা যাত্রীদের নামি দেওয়া হচ্ছেএছাড়া অনেক বাস, আমিনবাজারে এসে যাত্রী নামিয়ে দেয়। এ কারণে অনেক যাত্রী আমিন বাজার থেকে হেঁটে গাবতলী দিয়ে রাজধানীতে ঢুকছেন। সকাল থেকেই হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তাদের সাথে থাকা ব্যাগ ও লাগেজ কষ্ট করে টেনে নিতে হচ্ছে নিজেদেরকেই।এত কষ্টের পরেও তাদের মধ্যে যেন পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারাই বড় আনন্দের।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজধানীতে আসা যাত্রীরা বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গিয়েছিলেন তারা। ঈদ কাটিয়েছেন। আবার ফিরে এসেছেন। লকডাউনের মধ্যেই কেন আসতে হলো‑ এ বিষয়ে সবার ছিল কিছুটা কৌশলী উত্তর। আবার অনেকে বলেন, ঈদ শেষে রাজধানীতে এসেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আসা মাহমুদ বলছিলেন, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। ভোরবেলা পৌঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় দুপুর হয়ে যায়। তারপরও রাজধানীতে এসেছেন। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন বাকি পথ অন্য কোনভাবে চলে যাব।

ফরিদপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা আলামিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, রাত বারোটায় তিনি রওনা দিয়েছিলেন ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে। ভেবেছিলেন ভোরেই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন কিন্তু ঘাটে জ্যাম থাকায় তা আর হয়ে ওঠেনি। দুপুর হয়ে যায়। পুলিশকে টোল দেওয়ার রিসিট দেখিয়ে রাজধানীতে ঢোকেন তিনি।

দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা রাজধানীতে ঢোকার প্রতিটি যানবাহনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষই আজ ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছেন। সেজন্য যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ সকাল থেকে একটু বেশি রয়েছে। রাজধানীতে ঢোকা প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যারা যাত্রী নিয়ে এসেছেন সেসব গাড়ি‑ বিশেষ করে ঘাটের গাড়িগুলোর টোল আদায়ের রিসিট চেক করা হচ্ছে।