আজও রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই ভেঙে ভেঙে রাজধানী প্রবেশ করছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জরুরি প্রয়োজনের চেয়ে তুচ্ছ কারণই বেশি দেখাচ্ছেন আগতরা।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পয়েন্ট গাবতলী এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জীবন ও জীবিকার তাগিদসহ নানা কারণে এই লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষ রাজধানীতে আসছে।

আমিনবাজার থেকে শাশুড়িকে দেখতে রাজধানীর মিরপুর কোটবাড়ি এলাকায় যাচ্ছিলেন ফয়সাল আহমেদ। শিশু এবং স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, শাশুড়ির জ্বর এসেছে। তাই শাশুড়িকে দেখতে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জ্বর এসেছে। তবু কেন যেতে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য‑ তাই কি আর করব, যেতেই হচ্ছে।

নোয়াখালীতে একটি মসজিদে কাজ করেন আওয়াল। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। এখন আবার নোয়াখালী ফিরে যেতে চাচ্ছেন তিনি। আমিনবাজার এলাকা পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে এসেছেন। হেঁটে গাবতলীর রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, মসজিদ কর্তৃপক্ষ আমাকে চাপ দিচ্ছেন যেন তাড়াতাড়ি ছুটে যাই। তাই যাচ্ছি এত কষ্ট করেও ভেঙে ভেঙে।

দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট ফয়সাল ইসলাম বলেন, গাবতলী চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দেখাচ্ছেন আগতরা। যাদের কথা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে তাদেরকে আমরা মামলা দিচ্ছি। অনেকে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন আমাদের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য। আমাদেরকে ফাঁকি দিতে পারলেও করোনাকে ফাঁকি দিতে পারবে কিনা‑ এটা তারা উপলব্ধি করতে পারছেন না। নিজেরা সচেতন হলেই কেবল করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।