কঠোর লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের লাভ রোডে বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত চলছে জমজমাট আড্ডা। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হলেও থেমে নেই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষের আনাগোনা। মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনারের অফিসের পাশেই এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া কিশোর-তরুণ বয়সীদের উচ্চ সাউন্ডে হর্ন বাজিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যেন আশপাশের বাসিন্দাদের জন্য ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।’
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মিরপুর ২ নম্বরের লাভ রোডসহ বেশ কয়েকটি রোডে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিকালের পর থেকেই অনেকেই আড্ডা দিতে চলে আসছেন এই লাভ রোডসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি রোডে। দলবেঁধে তরুণ-তরুণীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। লকডাউন কিংবা করোনা ভীতি যেন তাদের মাঝে কোনও প্রভাব ফেলেনি। সময় যতই গড়াতে থাকে তাদের উপস্থিতি যেন বাড়তেই থাকে। চোখে পড়েনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও তৎপরতা। তবে স্থানীয়রা জানান, মাঝে মাঝে চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান।
লাভ রোডের একটি ভবনের কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, ৯ বছর ধরে এলাকায় আছি। বিকালের পর থেকেই রাত অবধি এখানে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা এসে আড্ডা দেয়, চিল্লাচিল্লি করে, হৈ হুল্লোড় করে। তাদের এ ধরনের আচরণে আমরা অতিষ্ঠ। আমাদের ভবন মালিক ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি ভবনের মালিক এ পর্যন্ত কয়েকবার মিরপুর উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এবং সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু তারপর পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
তবে বিকালের পর স্থানীয় কয়েকজনকে মাইকিং করতে দেখা গেছে। যারা ঘুরতে বেরিয়েছেন তাদের বাসায় যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা। তবে তাদের উপস্থিতিতে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা জায়গা থেকে উঠে গেলেও কিছুক্ষণ পর আবার তাদের রাস্তার ধারে এসে বসে পড়তে দেখা যায়। মাইকিং করে চলে যাওয়ার পর আবার আগের মতোই চলে আড্ডা হৈ-হুল্লোড়।