চুক্তিতে কিলিং মিশনে কাজ করতো তারা

চুক্তিতে চাঁদাবাজি কিংবা কিলিং মিশনে জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ক্যান্টনমেন্ট থানার আরব আলী হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানার এক মামলায় মো. আরব আলী যিনি পেশায় একজন ঠিকাদার, তার মামলায় জানা যায় তার কাছে থেকে চাঁদা দাবি করে হুমকি দেওয়া হয় এবং চাঁদা না দেওয়ায় গত ৩০ মার্চ দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ৩৩/এ বাসার সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। আরব আলী গুলিবিদ্ধ হয়। ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. শাহজাহান ওরফে সাবুকে চাঁদপুরের হাইমচরে এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে পল্লবী থানার কালশী এলাকার বাউনিয়াবাঁধ’র একটি বাসা থেকে একটি রিভলভার এবং ১ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া কালশী এলাকা থেকে মোহাম্মদ দুলাল প্যাদা ও জিএমপি দুলাল ও মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।

হাফিজ আক্তার আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও যুবরাজের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের অপতৎপরতা সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ চক্রে আরও ৮ থেকে ১০ জনের তালিকা আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, তারা কন্ট্রাকে বিভিন্ন সময় কিলিং মিশনে অংশ নিতো। এ ছাড়া পারস্পরিক যোগসাজশে মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ভাষানটেক কালশী ক্যান্টনমেন্ট মাটিকাটা এলাকায় চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তারের জন্য অস্ত্র রাখত।

হাফিজ আক্তার এই ধরনের অপরাধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ঢাকা শহরে অবৈধ জমি দখল কিংবা চাঁদাবাজের বিষয়ে ডিবির নজরদারি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কেউ এ ধরনের অপরাধ করে ছাড় পাবে না। চাঁদাবাজি কিংবা জমি দখলের ঘটনা ঘটলে থানাকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি। অপরাধ করে কেউ পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পাবে না।