যেমন যানবাহনের চাপ, তেমনি হেঁটে আসা মানুষের

রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে বেড়েছে গাড়ির চাপ। তবে ব্যক্তিগত যানবাহনের মধ্যে প্রাইভেট কার এবং মোটরবাইকের সংখ্যা বেশি লক্ষ করা গেছে। সেইসঙ্গে যারা দূরপাল্লা থেকে ভেঙে ভেঙে ভোগান্তি সহ্য করে রাজধানীতে আসছেন তাদের অনেকেই পায়ে হেঁটে রাজধানীতে ঢুকছেন। ফলে শনিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী এলাকায় যানবাহনের চাপের পাশাপাশি হেঁটে আসা মানুষদের চাপও লক্ষ করা গেছে। 

পুলিশ বলছে, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ রাজধানীমুখী যানবাহনের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। গতকাল গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পর আজ সকাল থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে লোকজনদের ছিল ভিড়। যেসব গাড়িগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের অনেকেই বিভিন্ন কাজে বের হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অনেকে পুলিশ চেকপোস্ট এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

মোটরবাইকে করে আমিনবাজার এলাকা থেকে রাস্তার অবস্থা দেখতে বের হয়েছিলেন আহসান। গাবতলী চেকপোস্টে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, আগামীকাল থেকে গার্মেন্টস খোলা এ বিষয়টিতে শুনেছেন তাই রাস্তার কী পরিস্থিতি থাকবে সেজন্য দেখতে বের হয়েছেন। এসময় তার কাছে ছিল না লাইসেন্স। পরবর্তীতে গাড়িটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট।

গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, যাওয়া-আসা নিয়ে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, যেখানে ২০ টাকা ভাড়া সেখানে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা। আমরা সাধারণ যারা আছি তাদের জন্য শুধুমাত্র ভোগান্তি। একেকটি রিকশা-ভ্যানে গাদাগাদি করে লোক পাঠানো হচ্ছে। এতে করে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।

গাবতলী চেকপোস্টের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট নুরনবী চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ সকাল থেকেই যানবাহনের ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। এ ছাড়া পায়ে হাঁটা মানুষের ভিড়ও রয়েছে। আমরা প্রতিটি গাড়িকে জিজ্ঞাসাবাদে আওতায় আনছি। এখানে অনেকেই বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন। 

আমরা দেখতে পেয়েছি, একজন মোটরবাইকে এসেছেন রাস্তার কী অবস্থা তা দেখতে। এ বিষয়গুলো প্রতীয়মান হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।