ঢাবিতে অনলাইনে মাস্টার্স পরীক্ষা, উপস্থিতি শতভাগ

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনলাইনে মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইংরেজি ভাষা বিভাগ। পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল শতভাগ। গত ২৬ জুলাই থেকে আজ ১ আগস্ট পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষা দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, "এই পরীক্ষার জন্য আমরা দীর্ঘ এক বছর পিছিয়ে পড়েছি। অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে সংশয় থাকলেও বিভাগের দায়িত্বশীলতায় আমরা অনলাইনে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি।"

ইংরেজি ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থী নুশরাত আরা বলেন, অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে যে ভীতি কাজ করছিল তা পরীক্ষা শুরুর আগ পর্যন্তই ছিল। পরীক্ষার দেওয়ার পর বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা খুব সহজ। আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গ্রামাঞ্চলের তবু আমাদের তেমন বেগ পেতে হয়নি। হালকা সমস্যা হলেও সেটি আমাদের শিক্ষকরা সমাধান করে দিয়েছেন। আমরা শুধুমাত্র পরীক্ষা দিতে সম্মতি দিয়েছিলাম বাকি সব কৃতিত্ব আমাদের বিভাগের।

বিভাগটির পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের কাছে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা সংক্রান্ত অভিযোগের কথা উল্লেখ্য করে জানতে চাইলে তিনি  বলেন, "আমরা যে মুহূর্তে পরীক্ষা নিয়েছি তখন আবহাওয়া ভালো ছিল না। বৃষ্টি, বন্যা, ঝড়-তুফান হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আমরা যে ধরনের চ্যালেঞ্জগুলো চিন্তা করেছি তার মধ্যে আমরা পড়িনি।”

তিনি আরও বলেন, "শিক্ষার্থীরা যে ধরনের সমস্যার কথা চিন্তা করে বাস্তবতায় অনেক কিছুই হয় না। ২৬ তারিখ পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীর ইন্টারনেট ডিসকানেকটেড হয়ে গেলে সে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাকে আবার লগইন করতে বলি এবং সে লগইন করে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করে। দ্বিতীয় পরীক্ষায়ও উত্তরপত্র জমা দেওয়ার সময় একজন শিক্ষার্থী আধা ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও উত্তরপত্র জমা দিতে না পারলে সে আমাকে জানায়৷ আমি তাকে অনলাইন পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ইমেইল করতে বলি। তারপর ওর মেইলটা আমি ডাউনলোড করে ফোল্ডারে জমা দিয়ে দিয়েছি। মাঝখানে ডিসকানেকটেড হয়ে গেলেও সে কিন্তু পরীক্ষা দিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। কারণ সে পরীক্ষা দিচ্ছে খাতা-কলমে। মাঝে মাঝে ডিসকানেকটেড হয়ে যাওয়ায় আমরা তাদের জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছি। ক্যামেরা অন রাখার জন্য তাদের সুবিধার্থে একাধিক সাইটে তাদের জন্য প্রশ্নপত্র দিয়েছি। পুরো পরীক্ষাটা আমরা সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, "করোনা পরিস্থিতিতে বিভাগ ও ইন্সটিটিউটগুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিভাগ তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে পরীক্ষা নিচ্ছে।  এ বিষয়ে আমরা একটি নীতিমালাও করে দিয়েছি। এই নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগগুলো পরীক্ষা নিচ্ছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগ অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে নিবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা অতিসত্বর কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারবে।"