কোরবানি ঈদের পশুর হাটের বর্জ্য এখনও মাঠে পড়ে রয়েছে। সেখানে প্রজনন হচ্ছে এডিস মশার। মাঠের বর্জ্য যুক্ত পানিতে ঝাঁকে ঝাঁকে বাসা বাঁধছে ডেঙ্গু মশা। হাটটির পাশে দুটি মসজিদও রয়েছে। মসজিদের সামনে বাঁশ ও পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মাঠের আশপাশেও বেশ কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্তও হয়েছেন।
তাদের অভিযোগে সিটি করপোরেশন দায়সারাভাবে কিছু বাঁশ ও আবর্জনা সরালেও এখনও ২০ শতাংশের বেশি বর্জ্য রয়ে গেছে। যা থেকে এডিস মশাসহ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘের খেলার মাঠে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সিটি করপোরেশন বলছে বৃষ্টির কারণে বর্জ্য অপসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মাঠ সংলগ্ন গাউছুল আযম রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, হাটের বাঁশ, গরু বাঁধার বালু, পশুর মলমূত্র এখনও পড়ে আছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে এলাকার বিশ্রী পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাশের বিভিন্ন বাসা বাড়ির সামনেও গোয়াল ঘরের মতো অবস্থা। বাসা থেকে জানালা খুললেই দুর্গন্ধ। সেখানে করপোরেশনের কোনও কর্মীই যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পাশাপাশি এসব বর্জ্য থেকে বিপুল সংখ্যক মশাও উৎপাদন হচ্ছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর মির্জা আসলাম আসিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখন ভালো করে পরিষ্কার করার মতো কোনও অবস্থা নেই। বৃষ্টি না কমলে মাঠ না শুকালে কোনও মেশিনপত্র সেখানে ঢুকানো যাবে না। কারণ মেশিনের বড় বড় চাকা দেবে যায়। হাট ইজারাদাররা মানুষের বাসা বাড়ি, চিপায় চাপায় পর্যন্ত গরু বেঁধেছে। অনেক অনেকবার অভিযোগ দিয়েছি। তারা হাট করেই চলে যায়। এলাকায় এখন খড় রয়েছে। পরে সমস্যাটি আমাকেই ফেইস করতে হয়। এখন আমি একটা মসিবতে পড়েছি।
মাঠে মশার প্রজনন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকালে লার্ভিসাইডিং করে যতটা নিয়ন্ত্রণে করতে পারি। এখানে মশা আছে, উলানা পোকাও আছে। আমরা চেষ্টা করছি। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন লার্ভিসাইডিং করছি। মাঠে ব্লিচিং পাউডারও ছিটিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আমাদের ১০ করে কর্মী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে নতুন ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। আমার ওয়ার্ডে ৫ জন ড্রেন পরিষ্কার, ৪১ জন ঝাড়ুদার, এসটিএসে ৫ জন, ড্রাইভার ও তার সহযোগী মিলে মোট ৬১ জন কর্মী রয়েছে। তাদের দিয়েই কাজ করাচ্ছি। এ জন্য আলাদা কোনও কর্মী আমি পাইনি।
মাঠটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের কাজ চলছে। বৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। এগুলো নিয়ে বেশি হুড়োহুড়ি করারও কিছু নেই। গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ চলছে।