এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।

সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোন ভবনেই এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেলে জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা নির্মূল করার লক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ মাঠে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্যই  "দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার" এই স্লোগানটিকে সবাই মিলে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সামাজিক আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জনসচেতনতার কারণেই অন্যান্য এলাকার তুলনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকায় এখনও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তুলনায় কম রয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র মিরপুরের মাজার রোড এলাকায় মশক নিধনে চিরুনি অভিযান কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং তাঁর উপস্থিতিতেই একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হ‌ওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভবনের মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।