করোনা সচেতনতার কাজে আমলাদের রাস্তায় নামান: ডা. জাফরুল্লাহ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা রোধে সরকারের উদ্দেশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সকল আমলাদের রাস্তায় নামান। তাদের সচেতনতার কাজে ব্যবহার করুন। তাদের বসিয়ে বসিয়ে আর কতদিন বেতন খাওয়াবেন?

বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের পেট্রোবাংলা ভবনের সামনে গণসচেতনতা ও মাস্ক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে "করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণের চলাচল সচেতন করা ও মাস্ক বিতরণ" কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণটিকা কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এইভাবে করোনার বিস্তার আরও বাড়ছে।

স্কুল-কলেজ খোলার আহবান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে শিক্ষার্থীরা মানুষকে সচেতন করতে পারতো। আপনাদের সব চেয়ে বড় ব্যর্থতা দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের মাস্ক না পরা । যারা পরে তারা মুখে লাগায় না, গলায় ঝুলিয়ে রাখে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার ভ্যাকসিনের প্রকৃত মজুদ কত, তা নিয়ে পরিষ্কার তথ্য দিচ্ছে না। সরকার প্রচার করলেও সত্যি তথ্য তারা গোপন করছে।’ অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহের দাবি জানান সাকি।

গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেএসডি কার্যকারী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, গণফোরামের ঢাকা মহানগর সভাপতি আবু সাঈদ, ঢাকা মহানগর গণসংহতি আন্দোলন সমন্বয়ক মনির উদ্দিন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর নেতা আলী আকবর খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুর প্রমুখ।