‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় আলেম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে’

এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় আলেম সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মেয়র কিংবা কাউন্সিলর কারও একার পক্ষেই এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এটি মোকাবিলা করতে হবে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ‘সুস্থ্যতার জন্য সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডেই জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। মসজিদের ইমাম বা খতিবরা শুক্রবারের জুমার নামাজের খুতবায় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে পারেন।

তিনি বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি অব্যবহৃত এই জিনিসগুলো ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিস অথবা নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমাদানকারীকে পুরস্কারের কথা পনর্ব্যক্ত করেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রঙের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরষ্কার দেওয়া হবে।