‘ভবনে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকলে ট্যাক্সে বিশেষ ছাড়’

যেসব ভবনে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদের বিশেষ হোল্ডিং ট্যাক্স রেয়াত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিকে ধ্বংস করার কারণেই প্রকৃতি এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। তাই প্রকৃতিকে আর ধ্বংস নয়; সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে।’

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে  আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা: সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার রিটেনশন পন্ডে বায়ো ইকো পার্ক গড়ে তোলা হবে। হাতিরঝিলের মতো একটি জলাধার দিয়ে কখনও নগরীর জলাবদ্ধতা সমাধান করা সম্ভব নয়। এই সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত একাধিক জলাধার প্রয়োজন।’

মেয়র বলেন, ‘কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে মাত্র ৩ একর জমিতে জলাধার রয়েছে। আর বাকি ১৭০ একর জমিই অবৈধ দখলে রয়েছে; যা খুবই দুঃখজনক। সবাই মিলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘মাস্তানি করে খাল দখলের দিন শেষ। বিনা নোটিশে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।’