দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন আর কোনও ভঙ্গুর সংস্থা নয়: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এখন আর কোনও ভঙ্গুর সংস্থা নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের পর্যালোচনা সভা ‘ষান্মাসিক রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতায় গত অর্থবছরে (২০২১) আমরা ৭০৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছি। করপোরেশনের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়। যে গতিতে এগিয়ে চলেছি, এ বছর আমরা ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় পারবো বলে আশাবাদী। একটি বিষয়ে আমরা ঢাকাবাসীর নজর কাড়তে পেরেছি, ভরসা দিতে পেরেছি যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আর কোনও ভঙ্গুর সস্থা নয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীকে সেবা দেওয়ার মতো একটি অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান, তা আমরা ঢাকাবাসীকে দেখাতে সক্ষম হয়েছি।’

মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনার নির্দেশনা দিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি পরিদর্শন করতে হবে। দফতরে ও বাসায় লোকজন টাকা দিয়ে যাবে, এ ধরনের ধ্যান-ধারণা একদম মুছে ফেলতে হবে। সপ্তাহে সুনির্দিষ্টভাবে কত দিন মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবো, কত দিন দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করবো, তা সমন্বয় করে সূচি করতে হবে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন, তাদের কাজে যেন গতি পাওয়া যায়।’

এ সময় মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মকর্তাদের কর্ম স্পৃহা বাড়াতে নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগে আমরা নতুন জনবল নিয়োগ করেছি। এরই মাঝে  জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি। আগামী মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ শেষ করবো। তারপর বাছাই কমিটির সভা আয়োজনের মাধ্যমে যারা এখনও পদোন্নতি পাননি, তাদের পদোন্নতি যেন সুষ্ঠুভাবে নিয়মিত সম্পন্ন করতে পারি।’

কর আদায়ে আরও বেশি দক্ষতা প্রমাণের নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘কর কর্মকর্তা  থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সবাই অত্যন্ত দক্ষ। সুতরাং, যে সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখবেন, তা তাদের সঙ্গে আলাপ ও সমন্বয় করে সমস্যা সমাধান করবেন।’

সম্মেলনে কর কর্মকর্তা, লাইসেন্স সুপারভাইজর, রেভিনিউ সুপারভাইজর, বাজার সুপারভাইজর, উপ-কর কর্মকর্তা, রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টসহ রাজস্ব বিভাগের সবপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান কর কর্মকর্তা আরিফুল হক, উপ-প্রধান কর কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।