মশা নিয়ে যে গবেষণা হবে ডিএনসিসিতে

মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিবছরই নানা উদ্যোগ নেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, নর্দমায় গাপটি মাছ ছাড়া, জলাশয়ে হাঁস ছাড়া আরও কত কী। এবার যোগ হচ্ছে মশা-গবেষণা। যার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

ডিএনসিসি সূত্র বলছে, সম্প্রতি ইনছন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভারজেন্স রিসার্চ সেন্টার ফর ইনসেক্ট ভেক্টরস-এর তিন জন শিক্ষক ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোয়েকা)-এর একদল কর্মকর্তা ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

গবেষণা কাজে অর্থ সহায়তার প্রস্তাব করেছে কোয়েকা। ডিএনসিসিও বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে।

ডিএসিসির স্বাস্থ্যবিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা কোরীয় বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে গবেষণা শুরুর আগে একটি সমঝোতা স্বারক সই করবেন।

তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার মশার ধরন এবং নগরের মশাগুলো কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা করবে। গবেষণার পর তারা আমাদের কীটনাশকসহ বিভিন্ন বিষয় পরামর্শ দেবে।’

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরাই মূল গবেষণার কাজ করবেন। ডিএনসিসি ঠিক করবে গবেষণার জায়গা এবং আণুষাঙ্গিক কিছু সহযোগিতা দেবে।

এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘মশা নিয়ে গবেষণা নিয়ে অত্যন্ত ভালো কাজ। আমাদের দেশে এ ধরনের কাজ হয় কম। তবে সিটি করপোরেশনের এ কাজের সক্ষমতা নেই।’

তিনি মনে করেন, দেশীয় গবেষক যারা এ কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তাদেরকেও এতে সম্পৃক্ত করলে নগরবাসী উপকৃত হবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের (কোরিয়া) সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ করেছি। এ নিয়ে আবারও বসবো।’

তারা কত সময় নিয়ে, কীভাবে কাজটি করবে এবং কোয়েকা কত অর্থ বরাদ্দ করবে এসব নিয়েও আলোচনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।