ডিজিটাল হবে ডিএনসিসির রিকশা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তর সিটির অধীনে ২৮ হাজার রিকশার লাইসেন্স আছে। কিন্তু রাস্তায় চলছে প্রায় ১০ লাখ।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে কোরবানির পশুর হাটের ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন,  ‘রিকশাগুলো নম্বর প্লেট নকল করে চলছে। আমরা আগামী ছয় মাসের মধ্যে দুই লাখ রিকশার জন্য ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেবো। সেই সঙ্গে কিউআর কোডও থাকবে যা স্ক্যান করলে সহজেই পাওয়া যাবে যাবতীয় তথ্য। বোঝা যাবে এ নম্বর প্লেট নকল না আসল।’

মেয়র আরও জানান, ‘ঘুষ-দুর্নীতি কমাতে আমাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের লেনদেন ডিজিটাল করা হয়েছে। এ বছরের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্সসহ ১৭টি আর্থিক খাতকে  ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় আনা হবে।’

মেয়র আতিকুল আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির গত দুই বছর অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার আয়োজন করেছে ই-কমার্সকে উৎসাহিত করতে। আমার কাছে সর্বশেষ যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী ডিজিটাল হাটের বিক্রি দুই হাজার সাতশ কোটি টাকা।’

ডিজিটাল পশুর হাট থেকে সিটি করপোরেশন কোনও লভ্যাংশ পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সার্ভিস ওরিয়েন্টেড। সিটি করপোরেশন যে সব জায়গায় লাভ করবে তা কিন্তু নয়।’

‘আগামী মাসে উত্তর সিটি এলাকায় ডিজিটাল কার পার্কিং শুরু হবে। স্মার্ট সিটি-স্মার্ট বাংলাদেশ-স্মার্ট ডিএনসিসি উপহার দিতে চাই আমরা। স্মার্ট ঢাকা গড়তে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী আমাদের এই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি উত্তর সিটি করপোরেশনের পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন সারাদেশে ছড়িয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)-এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (পিএসডি) শাহ জিয়া-উল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।