ভাঙারি দোকানে বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু

রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় ভাঙারি দোকানে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে দুই জন পোস্ট অপারেটিভ এবং একজন আইসিইউতে মারা যান।

মৃতরা হলেন– নূর হোসেন (৬০), গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৫) ও মোহাম্মদ আলম (২৩)।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নূর হোসেনের শরীরের ৯৫ শতাংশ, গাজী মাজহারুলের ৩৫ শতাংশ এবং মোহাম্মদ আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

গাজী মাজহারুলের ছোট ভাই রাহাদ মোল্লা জানান, তুরাগের কামারপাড়া ঘটনাস্থলে গাজী মাজহারুলের বাড়ি। তিনি ভাঙারি দোকানের ব্যবসা করতেন। স্ত্রীর নাম রোকসানা বেগম। তার তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। চার ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।

অপরদিকে, নূর হোসেনের ছেলে নাজমুল জানিয়েছে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মৃত রজব আলীর ছেলে নূর হোসেন । তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। বর্তমানে তুরাগ বামনারটেক স্ত্রী লাবনী বেগম, দুই ছেলে এবং তিন মেয়ের সঙ্গে থাকতেন।

মোহাম্মদ আলমের চাচা রবিউল ইসলাম জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দিলবালিয়া গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলম। তিনি রিকশার গ্যারেজের মেকানিকস ছিলেন। চার-পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রীর নাম স্বর্ণালী আক্তার।

মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।

বার্ণ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, চিকিৎসাধীন বাকি পাঁচ জনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।

এর আগে, শনিবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে কামার পাড়া রাজারবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় একটি রিকশা গ্যারেজের পাশে ভাঙারি দোকানে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে রিকশা গ্যারেজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৮ জন দগ্ধ হন।