জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস ভাড়া বাড়ানো হলেও রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট কাটেনি। রবিবার (৭ আগস্ট) গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বাসের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর দিন শনিবার রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট ছিল প্রকট। হাতে গোনা কিছু বাস চললেও বেশিরভাগ নামেনি সড়কে। পরিবহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী।
বিআরটিএ ও পরিবহন মালিকদের বৈঠক থেকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা আসে শনিবার রাতে। রবিবার থেকে নতুন ভাড়া কার্যকরের কথা জানানো হয়। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত মেনে বাস চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
সরেজমিন দেখা যায়, গণপরিবহন সংকটে প্রায় প্রতিটি স্টপেজে যাত্রীরা অপেক্ষা করছেন। অধিকাংশ বাস যাত্রীতে ঠাসা, পা রাখার জায়গা নেই। রাজধানীর কোনও কোনও এলাকায় আবার ভিন্ন চিত্রও দেখা গেছে। কোথাও কোথাও যাত্রীর সংখ্যা কম থাকায় বাসও খালি ছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজধানীতে পরিবহনের সংকট নেই। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সড়কে বাসের সংখ্যা কিছুটা কম থাকতে পারে, অন্য কোনও কারণ থাকার কথা না।’
এদিকে, রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে প্রথম দিনে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায়ের অভিযোগও করেছেন অনেক যাত্রী।
এ নিয়ে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি মানতে নারাজ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলছেন, বিআরটিএ’র নির্ধারিত নতুন ভাড়া পরিবহনগুলো মেনে চলছে।
একই ধরনের বক্তব্য এসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব ওসমান আলীর কাছ থেকে।