পানির দাম ২৫ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব, জানে না বোর্ড

আবাসিক সংযোগের প্রতি ইউনিট পানির দাম ২৫ ভাগ আর বানিজ্যিকে ১৯ ভাগ বাড়াতে চায় ঢাকা ওয়াসা। এ প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। কিন্তু বিষয়টি জানেন না ওয়াসার বোর্ড সদস্যরা।

এতে ওয়াসার বোর্ড সদস্যরা ক্ষুদ্ধ। তারা অভিযোগ করেছেন, বোর্ডকে না জানিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করেছে ওয়াসা বোর্ড। ৪ আগস্ট বোর্ডকে না জানিয়ে আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ওয়াসার এমডি।

তাকসিম এ খান প্রস্তাব করেছেন, অবিলম্বে পানির পূর্ণ খরচ উঠানোর জন্য আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিট পানির দাম ১৫.১৮ টাকা থেকে ১৯ টাকা আর বানিজ্যিকে ৪২ থেকে ৫০ টাকা করা দরকার। আগামী জানুয়ারি মাসে আরও ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর বিষয়েও সম্মত ছিল ওয়াসা।

এ বিষয়ে ওয়াসা বোর্ড সভার সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, ‘এ প্রস্তাবের বিষয়ে ওয়াসা বোর্ড অবগত নয়। আমরা কিছু সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানতে পেরেছি। শুনেছি, এ বিষয়ে ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানও কিছু জানেন না। ওয়াসা আইনানুযায়ী কর্তৃপক্ষ এভাবে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন কিনা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার জানামতে, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠাবে বোর্ড। বোর্ড ইতোমধ্যে কয়েকদফা এ প্রস্তাব নাকচ করেছেন। তবে আমরা এ বছরের সেপ্টেম্বর পাঁচ ভাগ ও আগামী জানুয়ারি মাসে ১৫ ভাগ দাম বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত ছিলাম। আমরা আরেক বোর্ড সভায় প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখছিলাম।’

ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনটা ভালো করে দেখে তারপর বলতে পারবো।’

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ‘ওয়াসা কর্তৃপক্ষ যা করেছে সব আইন মেনেই করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াসা বোর্ডের শুধুমাত্র পাঁচ ভাগ দাম বাড়ানোর এখতিয়ার আছে। এর বাইরে পারে না। কর্তৃপক্ষ যখন পাঁচ ভাগ পর্যন্ত বাড়াতে চাইবে তখন বোর্ডের কাছে যাবে। এর বেশি বাড়ানোর দরকার হলে সরকারের কাছে চাইতে হবে।’