জাদুঘর বর্তমানের সঙ্গে অতীতের সেতুবন্ধ তৈরি করে। পরিচয় করিয়ে দেয় নানা সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মনীষীদের সঙ্গে। মনীষীদের কর্মের সঙ্গেও পরিচয় ঘটনায় জাদুঘর। বাংলাদেশের মানুষের জন্য জাতীয় জাদুঘর যেন এক মিলনস্থল।
প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এসব সংগ্রহশালা দেখতে। স্বাভাবিক দিনগুলোতে দর্শার্থীর সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজার। বিশেষ দিনগুলোসহ শুক্র-শনিবার এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় চার থেকে পাঁচ হাজারে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে জাদুঘরের মূল ফটক খোলার আগেই অনেকে এসে হাজির হয়েছেন। টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন। দুটি কাউন্টারের একটি বন্ধ থাকায় কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে বলে জানান এক পরিদর্শক। নানান বয়সের মানুষ এসেছেন জাদুঘরের সংগ্রহশালা দেখতে।
মোহাম্মদপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে জাদুঘর দেখতে এসেছেন কলেজ পড়ুয়া তাহিয়া তারান্নুম। তাহিয়া বলেন, ‘জাদুঘরে আসলাম আমাদের প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য দেখতে। জাদুঘরের ইতিহাস জীবন্ত ও প্রানবন্ত। যেন ইতিহাস আমার সঙ্গে কথা বলছে।’
জাদুঘরে ঘুরতে আসা আফজাল খান নামে এক গবেষক বলেন, ‘আমি প্রায়ই আসি নিজের গবেষণার কাজে। জাদুঘর আগের চেয়ে গোছালো হচ্ছে। আশা করছি, আরও আধুনিকায়ন হবে। দুটি টিকিট কাউন্টার সবসময় খোলা থাকবে বলে আশা রাখছি।’
টিকিটের দাম নিয়ে তিনি বলেন, দাম আগের মতোই আছে। কোনও প্রকার টিকিটের দাম বাড়েনি। দাম বাড়ানোর এখতিয়ার সম্পূর্ণ ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে।
জাদুঘরে বর্তমানে কেমন দর্শক আসেন জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনাকালীন সময়ে জাদুঘর বন্ধ ছিল। তবে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক দেড় থেকে দুই হাজার, আর বিশেষ দিনগুলোসহ শুক্র-শনিবার গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী আসেন।