উত্তরের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে বসছে সাড়ে ৪ হাজার সড়কবাতি

২০১৬ সালে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয় বেশ কয়েকটি ইউনিয়নকে। এসব এলাকাকে ভাগ করা হয় ১৮টি ওয়ার্ডে। সিটি করপোরেশনের আওতায় এলেও সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক বাতিসহ অনেক সুবিধাই পাচ্ছিলো না এই এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষার পর এবার আলোকিত হতে যাচ্ছে এলাকার সড়কগুলো। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৩৭-৫৪ নম্বর পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাগানো হচ্ছে সড়ক ৪ হাজার ৫০০ বাতি।

সিটি করপোরেশন অধিভুক্ত হওয়ার আগে নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ড ছিল বেরাইদ, বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও ডুমনি (খিলক্ষেত) ইউনিয়ন। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব এলাকার নতুন ১৮টি ওয়ার্ড পাচ্ছে ২৫০টি করে বাতি। বাতি লাগানোর কাজ ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ শেষ। শিগগিরই আলোকিত হবে এসব সড়ক।



সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বাতি লাগানোর জন্য নতুন পাঁচটি অঞ্চলের কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তাকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই এসব এলাকার উন্নয়নের জন্য সরকার ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে; যার কাজ বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে যায়।

এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, নতুন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ছোলমাঈদ, ভাটারা, নতুন বাজার ও ৩৯ নং ওয়ার্ডের খিলবাড়ীরটেক এলাকায় বাতি লাগানো হচ্ছে। এর মধ্যে ছোলমাঈদ এলাকায় বিদ্যুতের পিলারের সঙ্গেই লাগানো হচ্ছে লম্বা টিউব বাতি।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর সিটির ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোতালেব মিয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার এলাকায় ২৫০-২৭০টি বাতি লাগানো হবে। ঠিকাদারারের লোকজন এসেছিল চাহিদা নিয়ে গেছে।’

তবে চাহিদার তুলনায় প্রাপ্য বাতির সংখ্যা খুবই কম উল্লেখ করে এ কাউন্সিলর বলেন, ‘আয়তনের তুলনায় খুব কম সংখ্যক বাতি বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই আমি আমার এলাকার প্রধান রাস্তাগুলোতেই বাতি লাগাতে বলেছি।’



উত্তর সিটির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ‘নতুন ওয়ার্ডের সড়ক, নর্দমা ও সড়ক বাতি উন্নয়নের ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে। যা শেষ হতে চার-পাচ বছর সময় লাগতে পারে তাই সড়ক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এই বাতি লাগানো হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণত রাস্তা ও নর্দমার কাজ শেষ হলে সিটি করপোরেশনের খুটির সঙ্গে বাতি লাগাই। আর রাস্তার কাজ যেহেতু শেষ হয়নি তাই আমরা দামি স্মার্ট এলইডি বাতি না লাগিয়ে টিউব বাতি লাগাচ্ছি। চলমান প্রকল্পে বাতির ১২০ কোটি টাকা ধরা আছে। ওই প্রকল্প থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক এলইডি বাতি লাগাবো।’