ওষুধের দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়সীমা কার্যকর বৃহস্পতিবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, সেবাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্ধারিত সময়সীমা কার্যকর হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে।

গত ২২ আগস্ট ডিএসসিসি প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে— ১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল দোকান-পাট, শপিং মল, মার্কেট ও বিপনীবিতান বন্ধ করার শেষ সময় রাত ৮টা। কাঁচাবাজার, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা বন্ধ করতে হবে রাত ১০টার মধ্যে। এই এলাকার সব ধরনের রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানের রান্নাঘর বন্ধ হবে রাত ১০টার মধ্যে। তবে খাবার সরবরাহ করা যাবে ১১টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহসহ চিত্ত-বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা রাত ১১টা পর্যন্ত, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারাধীন সব এলাকায় শৃঙ্খলা আনতে এবং ঢাকা শহর পরিচালনায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জনস্বার্থে বৃহস্পতিবার থেকে এ সময়সূচি অনুযায়ী সবকিছু পরিচালিত হবে বলে এতে বলা হয়।

সম্প্রতি ওষুধের ‍দোকান বন্ধের সময়সীমা বেধে দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আজ ৩১ আগস্ট সকালে নগরীর আজিমপুর পথচারী পারাপার সেতু উদ্বোধন শেষে ওষুধের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানের সময়সীমা পর্যালোচনা ও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন।

ওষুধের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ওষুধ একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এ জন্য বিবেচনা করেই আমরা মহল্লার ওষুধের দোকানগুলোকে রাত বারোটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। আমরা খুব গুরুত্ব অনুভব করি যে, হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের সবসময় একটি তাগাদা থাকতে পারে এবং প্রয়োজন থাকে। এজন্য আমরা রাত দুইটা পর্যন্ত করেছি। আমার মনে করে যে, এটা যৌক্তিক। তারপরও যদি কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে লিখিত জানায় আমরা সেটা পর্যালোচনাপূর্বক বিবেচনা করব।"

মেয়র তাপস আরও বলেন,  ‘আপনারা যেমনটি উল্লেখ করেছেন, যেমন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এটি বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। তারা যদি আমাদেরকে লিখিতভাবে জানায়, তাহলে আমরা সেটা পর্যালোচনা করে পুনর্বিবেচনা করব। কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে প্রয়োজন হয় ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তোবা সময়টা বর্ধিত করা যেতে পারে। এটা সেই হাসপাতাল ও এলাকার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেই করা হবে। এখন থেকে কোনও সময়সূচি ছাড়া ঢালাওভাবে কেউ চলতে (কার্যক্রম পরিচালনা) পারবে না। সবাইকে একটা সময়সূচির মধ্যে আসতে হবে।’

সঠিক সময়ে দোকান বন্ধ না করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে— এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘যে কোনও আইন বা নীতিমালা প্রয়োগ বা বাস্তবায়নে অবশ্যই কঠোর হতে হয়। তবে সেখানে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আমি মনে করি, আমরা যে সময়সূচি দিয়েছি— এটা শুধু ঢাকাবাসীই নয়, সারা বাংলাদেশের জনগণ এবং বহির্বিশ্বে আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, তারাও এটা সাদরে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং আমরা জনসম্পৃক্ততা পেয়েছি। তাই, আমি মনে করি এটা বাস্তবায়ন দুরূহ হবে না। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে।’