শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের হাতে কলম, খাতা ও বই তুলে দেন: তাপস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের হাতে কলম, খাতা ও বই তুলে দিয়ে তাদেরকে মেধা, প্রজ্ঞা ও অসীম সাহসিকতার দিকে ধাবিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে 'ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, কলাবাগান ও নিউ মার্কেট' থানা ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ১৯৭৫ সালে আমরা জাতির পিতাকে হারালাম। ’৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে ফিরে আসলেন। আমরা দেখেছি, ’৭৫ এর পরে ছাত্রদেরকে নষ্ট করার জন্য, তাদের চরিত্র হনন করার জন্য— খুনি জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, সংবিধানকে পদদলিত করে ক্ষান্ত হয়নি। ছাত্রদেরকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য, জাতি গঠন থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য— তাদের বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে দেয়। তখন থেকে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত রাজনীতির দিকে অগ্রসর হলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরে এসে আবারও সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে কলম, খাতা ও বই তুলে দেন। তিনি ছাত্রলীগকে মেধা, প্রজ্ঞা ও অসীম সাহসিকতার দিকে ধাবিত করেছেন।"

শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, "বিগত দিনের ন্যায় আগামী দিনের পথচলা কঠিন হতে পারে। কারণ এই ৫১ বছরের পথচলা (স্বাধীনতা পরবর্তী) আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন পথচলা ছিল। ভবিষ্যতে আরও কঠিন হতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি এবং রাজপথে থেকে সেভাবেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আমরা ত্বরান্বিত করব, বেগবান করব। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সোনার বাংলা গড়ব।"

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, "যেখানে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, অছাত্রদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল যেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে— সেখানেই আপনারা তাদেরকে গণধোলাই দেবেন।"

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাসভীরুল হক অনু, সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক রানা, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, বৃহত্তর ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিমুদ্দিন বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল হাসান সজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।