পরিচর্যা পেলে খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে তুলে ধরবে : মেয়র আতিকুল

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের অনেক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় তাদের প্রতিভাগুলো তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। সঠিক পরিচর্যা পেলে জাতীয় পর্যায়ের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের খেলোয়াড়রা দেশকে তুলে ধরবে। সে বিষয়ে বর্তমানে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

শনিবার সন্ধ্যায় (১ অক্টোবর) রাজধানীর ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যাদলয়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের ব্যাডমিন্টন ফাইনাল ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যানলয় স্পোর্টস চ্যা ম্পিয়নশিপের ব্যা ডমিন্টন ইভেন্টের নারী একক ও দ্বৈতে দুই বিভাগেই চ্যা ম্পিয়ন হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যামলয়ের খেলোয়াড়রা। অপরদিকে পুরুষ একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত— তিন বিভাগেই চ্যা ম্পিয়ন হন ড্যা ফোডিল ইন্টারন্যাাশনাল ইউনিভার্সিটির খেলোয়াড়রা। পরে বিজয়ীদের মধ্যেউ পুরস্কার বিতরণ করেন মেয়র।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, ‘যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলায় যখন নিজেদের নিয়োজিত রাখে, তখন নিজের ভেতর একটা আত্মতৃপ্তি কাজ করে, ভালো লাগে। যেমন ভালো লাগছে আজকের এই আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে। বিনোদন ও খেলাধুলার জায়গা যেখানে দিনকে দিন দখল-দূষণের মুখে পড়ছে, সেখানে এমন একটি জমজমাট আয়োজন একটি ভিন্নবার্তা দেবে।’

এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘মিরপুরের ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফাঁকা জায়গা প্লট আকারে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গিয়েছে অথচ সেখানে এতো এতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বাসাবাড়ি, সেখানের শিশুদের কোনও খেলার জায়গা নেই। তারা আন্দোলন করছিল মাঠের দাবিতে। সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের অনশন ভাঙিয়েছি। যে প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা এতো ভালোবাসে, তার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছি এই জায়গাটি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তরের জন্য। আমরা সুন্দর মাঠ করে দেব।’

মাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘আজ মেয়েরা খেলাধুলায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করে তুলছে। যেসব মেয়ে ফুটবল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের অনেকে বাড়ি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তারা উন্মুক্ত জায়গায় প্র্যাকটিস করতে পেরেছিল বলে টিম তৈরি সম্ভব হয়েছে। শহরেও যদি খেলাধুলার এ রকম জায়গা পাওয়া যেত, এখান থেকেও অনেক মানসম্পন্ন প্লেয়ার তৈরি হতে পারতো। জায়গার অভাবে হচ্ছে না। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও আমরা পেছনে পড়ে যাচ্ছি।’

আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খেলাধুলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে হবে। খেলাধুলার সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যাালয় স্পোর্টস চ্যা ম্পিয়নশিপের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য্সচিব মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যেন উপস্থিত ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যা্লয়ের উপাচার্য ডক্টর এম এম শহীদুল ইসলাম।