ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা পরিকল্পিত: ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী ট্রাফিক বিভাগের পাঁচটি পুলিশ বক্সে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টু রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিন এ দাবি করেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তারা হলো– জনি ইসলাম, রাসেল মিয়া, সুরুজ, মো. আক্তার, শমসের উদ্দিন, মো. রনি, মো. কালিম, মাসুদ রানা ও মো. সাম। থানা পুলিশ ওই এলাকা থেকে আট জনকে গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশের আওতায় এসেছে।’

ডিবি গেফাহতে গ্রেফতার ব্যক্তিরাগোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘একজন বয়স্ক ও পঙ্গু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালককে ট্রাফিক পুলিশ মারধর করার অপপ্রচারে হামলা করা হয়। পরে অবৈধ রিকশার মালিক, চালক ও মটর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা উত্তেজনা ছড়িয়ে হামলায় ইন্ধন দেয়। ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা।’

‘কিছু বড় ভাইয়ের ইন্ধনে তারা এ হামলায় অংশ নেয়’– গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ হামলাকারীরা এমন তথ্য দিয়েছে উল্লেখ করে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে সেই বড় ভাইরা কোনও রাজনৈতিক দলের কিনা– এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। হামলা ও উসকানিতে জড়িত অনেকেই ঢাকার বাইরে আত্মগোপন করেছে। তাদের নাম পাওয়া গেছে, সেটা ধরে তদন্ত চলছে। যারা পুলিশের মনোবল নষ্ট করতে চায়, হামলা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে চায়, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিকে পাঁচ পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুর এবং দুই ট্রাফিক সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পল্লবী থানায় গতরাতে মামলা হয়েছে।