বেঙ্গল শিল্পালয়ে স্থাপত্য শিল্পকর্মের প্রদর্শনী

দেশের সমসাময়িক স্থাপত্যের গতিশীলতা ও উদ্ভাবন নিয়ে শুরু হলো স্থাপত্য শিল্পকর্মের প্রদর্শনী। এর শিরোনাম ‘বেঙ্গল স্ট্রিম: দ্য ভাইব্রেন্ট আর্কিটেকচার সিন অব বাংলাদেশ’। এতে জায়গা পেয়েছে স্থাপত্যের অঙ্কন, মডেল, ফটোগ্রাফ এবং স্থাপত্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথি।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে স্থাপত্য শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করেছে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস এবং সুইস আর্কিটেকচার মিউজিয়াম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সরকার সারাদেশে সব ধরনের প্রাথমিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাংস্কৃতিক বিকাশেও সরকার কাজ করছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন বহু বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।’

স্থাপত্য শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ও আয়োজকরা

সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশে স্থপতিরা অনেক ভালো কাজ করলেও আমরা বিভিন্নভাবে দেশীয় ঐতিহ্য হারাচ্ছি। একদিকে আমাদের ঢাকায় অনেক দীপ্তিময় ভবন আছে, অন্যদিকে আমাদের শহরগুলোতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে। ঢাকায় বেশকিছু পুরনো ভবন আছে যেগুলোকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা উচিত, কারণ এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিসেস নাথালি চুয়ার্ড

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিসেস নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘বেঙ্গল স্ট্রিম প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থাপত্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছে ইউরোপ। চলতি বছর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। প্রদর্শনীটির মাধ্যমে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

স্থাপত্য শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফ, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, স্থপতি সালাউদ্দিন আহমেদ, প্রদর্শনীর কিউরেটর নিকোলাস গ্র্যাবার ও আন্দ্রেয়াস রুবি।

প্রদর্শনীর কিউরেটর হিসেবে আছেন নিকোলাস গ্র্যাবার, আন্দ্রেয়াস রুবি এবং ভিভিয়ান এহরেন্সবার্গার। সবার জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে চালু হয় স্থাপত্য শিল্পকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী। পরবর্তী সময়ে ফ্রান্সে এবং জার্মানিতে ছিল এমন আয়োজন।