ডিএনসিসির পানিনিষ্কাশন লেক ও নালায় ৩৮০০ স্থাপনা চিহ্নিত, কাল অভিযান

গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন লেকে ও বৃষ্টির পানিনিষ্কাশন নালায় পয়ঃসংযোগ দিয়ে দূষণকারী ৩ হাজার ৮০০ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।

তিনি জানান, চিহ্নিত স্থাপনাগুলোয় আগামীকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে এ অবৈধ পয়ঃসংযোগ বন্ধ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গুলশান-২-এর ১১২ নম্বর রোড থেকে এ অভিযান শুরু হবে এবং আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমরা কমপ্লায়েন্সের একটা লিস্ট করে ফেলেছি সেপটিক ট্যাংকসহ কী কী কমপ্লায়েন্স নেই। আমরা গুলশানের ৮০ ভাগ বাসাতেই এ কমপ্লায়েন্স পাইনি। আগামীকাল পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবো। যেসব বাড়ি থেকে সংযোগ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেই লাইন বন্ধ করে দেবো। শুরু করার পর ধারাবাহিক এটা চলতেই থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইনে বৃষ্টির পানি যাবে, এখান দিয়ে বাসা-বাড়ির নোংরা পানি যেতে পারবে না।’ তিনি অভিযোগ করেন, পয়োবর্জ্যে দূষিত গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকে দূষণের কারণে মাছ চাষ করা যায় না আর উৎপাদন হয় মশার।’

মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাইকে দেখাতে চাই, মশা যদি দূর করতে হয় কীটনাশক দিয়ে হবে না; ন্যাচারাল উপায়ে দূর করতে হবে। আমার খাল ও লেকে যদি মাছ থাকে, তাহলে তারা লার্ভা খেয়ে ফেলবে। আমরা তো পরিবেশকে নষ্ট করে মশা মারছি। এটা করা যাবে না। পরিবেশও বাঁচাতে হবে, মশাও মারতে হবে।’

হাউজিং সোসাইটিকে ভবনে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল বসানোর জন্য কয়েক দফা সময় দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান মেয়র।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটার তো একটা সমাধান আছে। সোসাইটি তো কোনও কিছু মানছে না। যদি না মানে, তখন আমাদের পদক্ষেপ নিতেই হবে।’

অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করার কারণ কী, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মিরপুর থেকে এ অভিযান শুরু করতে পারতাম কিন্তু তখন মানুষ প্রশ্ন তুলত। এখন আমি অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করছি কারণ তাদের টাকার অভাব নেই যে সেপটিক ট্যাংক বা সোকওয়েল বসাতে পারবে না। আর আজ অভিযান করলেই যে কাল সমাধান হয়ে যাবে, তা তো নয়। এটার মাধ্যমে মানুষকে বার্তা দিতে চাই।’