পল্লবী স্টেশন চালুর পরও মেট্রোরেলে নেই যাত্রীর চাপ

গত ২৯ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছিল স্বপ্নের মেট্রোরেল। এক মাসেরও কম সময়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে চালু হয়েছে মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশন। এখন থেকে এই স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় থামছে ট্রেন।

প্রথম দিকে যাত্রীর চাপ আর উচ্ছ্বাস থাকলেও তা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। এখন আগের মতো যাত্রীদের দীর্ঘ সারি আর হইচই নেই স্টেশনপাড়ায়। তেমনি আজ মিরপুরবাসীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হলেও প্রথম দিনেই দেখা মেলেনি যাত্রীর চাপ।

অনেক যাত্রী জানান, মেট্রোরেল প্রথম যেদিন চালু হয়, সেদিন চড়ার বা দেখার খুব আগ্রহ ছিল। ধীরে ধীরে এখন সেটা কমে গেছে। তাই হয়তো তেমন একটা যাত্রী দেখা যাচ্ছে না।

স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মীরা জানিয়েছেন, যাত্রী কম থাকায় স্টেশনে কোনও ভোগান্তি ছিল না আজ।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে প্রথম বারের মতো পল্লবী স্টেশনে ট্রেন থামে এবং যাত্রী নিয়ে ৩০ সেকেন্ড পরেই আগারগাঁওয়ে চলে যায়। এর আগে সকাল ৮টার আগেই স্টেশনের তিনটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। যাত্রীরা ৮টায় স্টেশনে প্রবেশ করে।

স্টেশন কন্ট্রোলার মাসুদ রানা জুয়েল বলেন, ‘সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে উত্তরা স্টেশন থেকে আমাদের স্টেশনে আসে ৩০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী নিয়ে আগারগাঁওয়ের দিকে যাত্রা করেছে।’

সরেজমিনে মিরপুরের পল্লবী স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনে কোনও ভিড় নেই। স্টেশনের দুই অংশের ছয়টি টিকিট বিক্রয় মেশিনের একটি বন্ধ দেখা যায়।

এর পাশাপাশি মেশিনে খুচরা টাকা না থাকায় টিকিট সংগ্রহ করতে না পারায় অনেককে কাউন্টারে পাঠাতে দেখা যায়। স্টেশনে টিকিট বিক্রয় মেশিনের কোন কোন মুদ্রা মেশিনে প্রবেশ করানো যাবে, তার চার্ট টানিয়ে রাখতে দেখা যায়।

মিরপুরের বাসিন্দা এম এ মৃধা সোহাগ বলেন, ‘আজ স্টেশনটি চালু হলো। তাই আমি দেখতে এসেছি। পাশাপাশি চেয়েছিলাম এমআরটি পাস সংগ্রহ করবো। কিন্তু এসে শুনলাম সকালে দেওয়া হবে না। আমাকে আবার বিকালে আসতে হবে।’

মিরপুর ডিওএইচএসের বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমার অফিস কারওয়ান বাজারে। মেট্রোরেলের এই স্টেশনটি চালু হওয়ায় আমার জন্য সুবিধা হলো। এখন তাড়াতাড়ি অফিস যেতে পারবো।’ বেসরকারি এই চাকরিজীবী জানান, টিকিট সংগ্রহ করতে তার কোনও ভোগান্তি হয়নি।

সরকারি তিতুমীর কলেজ রোভার স্কাউট মো. ওয়াহিদুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘মেশিনের ভেতরে ভাংতি টাকা না থাকার আমরা কাউন্টারে পাঠাচ্ছি। এ ছাড়া ২০১৯ সালের পরের টাকাও নিচ্ছে না মেশিন।’

টিকিট বিক্রয় মেশিনগুলো বন্ধের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে মেট্রোরেলের পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (পরিচলন) ইফতেখার হোসাইন বলেন, ‘মেশিনগুলো নতুন। ব্যবহারকারীরা পুরনো টাকা দেওয়ায় মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ছে। এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন:

মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু