এক কার্ডেই মেট্রোরেল ও নগর পরিবহনে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা

মেট্রোরেলে যাত্রীরা যেই র‌্যাপিড পাস নিয়ে চলাচল করছেন, সেই পাস দিয়েই নগর পরিবহনের সব বাসে চলাচল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি কাডেই নগরবাসীসহ সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহনে চলাচল করতে পারবেন। আগামী জুনের মধ্যে আমরা র‌্যাপিড পাস দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেন একটি কার্ডের মাধ্যমে মেট্রো এবং বাসে যাতায়াত করতে পারেন যাত্রীরা। বিশ্বের সব দেশে এটা আছে। আমরাও এটা করতে চাই।’

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন। এছাড়া মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন। সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুটে বাস চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে। বাসের রঙ হবে সবুজ।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোরেলের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা নগর পরিবহনের এ দুটি নতুন রুট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪ নম্বর রুটের বাসগুলো চলাচলের সময় মেট্রোরেলের ছয়টি স্টেশনকে যুক্ত করবে। এতে যাত্রীদের সুবিধা হবে। উত্তরা বা আশপাশের এলাকা থেকে যারা মেট্রোরেলে যাবে, তারা এই বাসে যেতে পারবে। আবার যারা মেট্রোরেল থেকে নামবে, তাদের জন্য এটা একটা সুখবর।’

২৪ নম্বর যাত্রাপথ

ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন আব্দুল্লাহপুর।

২৫ নম্বর যাত্রাপথ

ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেইট-শাহিন স্কুল-মহাখালি (নিচ দিয়ে, ফ্লাইওভার হয়ে নয়)-কাকলি-বনানী উড়ালসেতু হয়ে রিজেন্সি- এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।