‘অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছেন’ সিএনজি অটোরিকশার মালিকরা, চালকদের ক্ষোভ

চালকদের কাছ থেকে ‘অতিরিক্ত অর্থ আদায়’ বন্ধ, রাজধানীতে আরও অন্তত ৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নামানোসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিএনজি চালকদের সংগঠন। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়ন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে শ্রমিকদের ওপর মালিক সমিতি নির্যাতন করে আসছে। সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমার (ভাড়া) পরিবর্তে মালিকরা অতিরিক্ত জমা নিয়ে থাকে। মালিক সমিতি শ্রমিকদের থেকে গ্যারেজ ভাড়াও নিয়ে থাকে। এই অনিয়ম শ্রমিকদের ওপর অন্যায় ও জুলুম হয়ে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘চালকরা কেন গ্যারেজ ভাড়া দেবেন? গ্যারেজ ভাড়া দেবেন মালিকরা। গাড়িতে মিটার আছে কী নেই মালিকরা খবরও নেন না। কিন্তু মিটার না থাকলে চালকদের মামলা দেওয়া হয়। অথচ মামলা দেওয়ার কথা মালিকদের। এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সবার কষ্ট হচ্ছে। তার ওপর এসব অতিরিক্ত খরচে চালকদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা যদি নির্দিষ্ট পোশাক পড়েন তাহলে পাঠাও-উবার চালকদের পোশাক কই? তাদেরও পেশাদার লাইসেন্স নিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে সাংবাদ সম্মেলন করে স্মারকলিপি দেবো। আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো।

তাদের উল্লেখিত দাবিগুলো হলো– চালকদের মধ্যে দ্রুত ৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিতরণ, চালকদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করা, গ্যারেজ ভাড়ার নামে টাকা নেওয়া বন্ধ করা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের বাড়তি ফি প্রত্যাহার, গাড়ির শ্রেণি অনুসারে জরিমানা হার নির্ধারণ করা, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র দেওয়া, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও বিধিমালা-২০২২ ধারা বাতিল, অন্যায়ভাবে রেকারিং-ডাম্পিং বন্ধ করা, পাঠাও-উবার চালকদের নির্দিষ্ট পোশাক পরা এবং সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া ৯৮ ও ১০৫ ধারার মামলা বন্ধ করা।

মানববন্ধন শেষে তারা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।

ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বুলবুল।