রাজধানীতে আজও যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

রমজানের পঞ্চম দিন আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ)। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি মিলিয়ে তিন দিন বন্ধ থাকায় রমজানের চতুর্থ দিন সোমবার (২৭ মার্চ) পড়ে প্রথম কর্মদিবস। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মদিবস চলছে। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ কিছুটা কম। তারপরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সেবা সংস্থাগুলোর রাস্তা কাটার কাজ চলছে। এ কারণে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকায় বেশ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। চলাফেরায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের।

রাজধানীর উত্তরা, বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি মোর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্যভবন ও পল্টন সড়কে সকাল থেকে ছিল যানবাহনের চাপ। অফিসগামী যাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকতে হয়েছে। গতকালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে বাসা থেকে বের হয়েও যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে অনেককে।

রাজধানীর মতিঝিলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা উত্তরার বাসিন্দা মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রমজানের কারণে যানজট বেড়েছে। উত্তরা থেকে ঢাকায় ভেতরে ঢোকার জন্য আর্মি স্টেডিয়ামের আগে থেকেই যানজটে বসে আছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রাশিদুল হক কারওয়ান বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল অফিস শেষে একটি ছোট কাজ করতে গিয়ে ইফতারের আগে বাসায় ফিরতে পারিনি। যানজটের কারণে রাস্তায় ইফতার করতে হয়।’

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ওবায়দুল বলেন, ‘আজ সকালে খোঁজখবর নিয়ে ধানমন্ডি যাওয়ার পরিকল্পনা করি। সকালে যানজট থাকবে এই ভেবে বেলা ১১টার পর বাসা থেকে বের হই। তখন কল্যাণপুরের সড়কটিতে গাড়ির চাপ তেমন ছিল না। মোটামুটি স্বচ্ছন্দেই গন্তব্যে যেতে পেরেছি।’

যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিজয় সরণি, সাত রাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সকালে গাড়ির চাপ ছিল। অফিসগামী যাত্রীদের চাপ থাকায় গাড়ি চলাচলে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এছাড়া সোমবার আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, ইফতারের আগে যানজটের কারণে সড়কে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।’