ডেঙ্গু জন্মাতে পারে এমন ময়লা জমা দিলেই মিলবে টাকা

এ বছর বর্ষার আগেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মশার লার্ভা নিধনের নিজ উদ্যোগে জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) এবং ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন (হুইলবারো মেশিন) আনারও প্রক্রিয়া চলছে। ঈদের পর ডেঙ্গু বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চালানোসহ এবার ঢাকায় নতুন একটি ধারণা নিয়েছে ডিএনসিসি। তা হলো– ময়লার বিনিময়ে অর্থ প্রদান।

বুধবার (২০ মার্চ ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসি’র উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করবো।

তিনি বলেন, গতবার মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমিদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি করপোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসবো। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে।

উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসি’র উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম

পানি জমে এমন সব ময়লার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয় জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির অঞ্চলগুলো থেকে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ ও অন্যান্য বস্তু অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঢাকার বেশকিছু খাল এখনও রাজউকের আওতায় আছে, এসব খাল নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে মশা জন্মে। তাই এসব খালও ডিএনসিসির আওতায় দিলে তা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উন্নয়নমূলক কাজ করবে বলে জানানা এসময় ডিএনসিসি মেয়র।

এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষে দেখা অসম্ভব কারও বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা, কারও ছাদে, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কিনা। ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কিনা সেটি দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব।

পরিদর্শনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।