প্রস্তুতি সম্পন্ন, বর্ষবরণের অপেক্ষা

ঈদের আনন্দ এখনও ছুঁয়ে আছে মানুষের প্রাণে। এরইমধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১। নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করা হবে। প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এখন শুধু উদযাপনের অপেক্ষা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। পহেলা বৈশাখে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানান আয়োজন থাকবে। এছাড়া ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’ প্রতিপাদ্যে রমনার বটমূলে গান, কবিতায় নতুন বছরকে বরণ করবে ছায়ানট।

বর্ষবরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রতিবারের মতো এবারও শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও গ্রাম-বাংলার চিত্র তুলে ধরা হবে। সে লক্ষ্যেই টেপা পুতুল, মুখোশ ও অন্যান্য শিল্পকর্ম তৈরি রাখা হয়েছে। চারুকলার প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

চারুকলার ২৫তম ব্যাচের মঙ্গল শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সাদিত সাদমান রাহাত বলেন, ‘আমাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন। মোটিফ ও কালারের মাধ্যমে এবারের শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য আনা হয়েছে।’

রাহ পোহালেই উদযাপন করা হবে পহেলা বৈশাখ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

এদিকে আজ সকাল ১০টায় রমনায় ছায়ানটের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়। ১৭০ জন শিল্পী মঞ্চে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুশীলন করেছেন। ঠিক করে নেওয়া হয়েছে শব্দ ও কারিগরি ব্যবস্থা। মঞ্চের সামনে সীমানা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ছায়ানটের পক্ষ থেকে যাদের প্রবেশের বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারাই শুধু সীমানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। সীমানার বাইরে থেকে বর্ষবরণের আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন অন্যরা।