আলোচনার শুরুতে জাস্টিন রোল্যাটের এক প্রশ্নের জবাবে চার্লস গ্লাস সিরিয়া যুদ্ধের পটভূমি ও ইতিহাস তুলে ধরেন। আরব বসন্ত থেকে শুরু করে কিভাবে এ সংকট জটিল রূপ ধারণ করে, তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া যুদ্ধের দু’রকম সংস্করণ আছে। একটি হলো সরকার প্রচারিত রূপ এবং আরেকটি সংস্করণ পাওয়া যায় প্রতিবাদকারীদের বর্ণণায়।’ গ্লাস আরও বলেন, সিরিয়া যুদ্ধের ভয়াবহতার জন্য সরকারপক্ষও অনেকাংশে দায়ী। কেননা, সরকার পক্ষের কাছে অপেক্ষাকৃত ভারী অস্ত্রপাতি ছিল। গেরিলাদের কাছে অপেক্ষাকৃত কম অস্ত্র থাকায় তাদের নিরস্ত্র করতে সরকার ভারি আক্রমণ চালায়।
এ যুদ্ধে বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গ্লাস বলেন, ‘আমেরিকা, সৌদি আরব ও কাতারের মতো শক্তির অংশগ্রহণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এখন এ অঞ্চলে রাশিয়ার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কারণ সিরিয়ার অধিকাংশ অস্ত্র কেনা হয় রাশিয়ার কাছে থেকেই।’
সিরিয়া যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অধ্যাপক আজিম ইব্রাহিম বলেন, ‘এ যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে এবং এতে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদই।’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের জন্ম ও কর্মকাণ্ড নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। আজিম বলেন, ‘সুন্নি অধ্যুষিত এ অঞ্চলে আইএস জন্ম নেয় ১৯৯৯ সালে। তবে সম্প্রতি আল কায়েদার মতো আইএসও পরাজিত হয়েছে।’ এ ঘটনাকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।’
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক শক্তি ইরানও এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ যেখানে ইরানকে দমন করতে চেয়েছিল, সেখানে শিয়া অধ্যুষিত ইরান এখন আরও শক্তিশালী। সুতরাং নতুন একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক আজিম।