জানা গেছে, ভোটের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে সংসদ সচিবালয় ফাইল প্রস্তুত করেছে। কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী গেল জুলাই মাসের শেষ দিকে স্থগিত এসব ইউপির ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে।
ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত ৪ হাজার ১০৪টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে সহিংসতা, ব্যালট ছিনতাই, আগেই ব্যালটে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের কারণে ৩৪৬টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। এসব কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা হিসাব করে চেয়ারম্যান বা সদস্য পদে ভোটের ব্যবধান ভোটার সংখ্যার চেয়ে বেশি থাকলে পুনরায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। তবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান কম হলে নির্বাচন পরিচালনা বিধির ৩৭ (২) অনুযায়ী অবশ্যই পুনরায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। সেই হিসাবে কমিশনের তথ্য মতে, ৩৪৬ কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের কারণে ১০৪টি ইউপির চেয়ারম্যান পদের ফল ঝুলে আছে।
এছাড়া স্থগিত কেন্দ্রের সমান সংখ্যক সাধারন সদস্য ও দেড়শ’র মতো সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ফলও অমীমাংসিত হয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ২২ মার্চ ৬৫টি, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ ৩৭টি, তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল ২৬টি, চতুর্থ ধাপে ৭ মে ৫৩টি, পঞ্চম ধাপে ২৮ মে ১২৩টি ও শেষ ধাপে ৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এই নির্বাচনে ছয় ধাপে ৪৫ হাজারের বেশি কেন্দ্র ছিল।
স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্থগিত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা আমাদের আগেই ছিল। বন্যাসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আশা করছি ঈদের পর করতে পারব।
/ইএইচএস/এমএনএইচ/