গাইবান্ধা-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে উপনির্বাচন কাল

নির্বাচন কমিশনগাইবান্ধা-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে উপনির্বাচনে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) ভোটগ্রহণ হবে। দুটি আসনেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। দুই আসনেই সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি। তবে ইসি আশ্বস্ত করে বলেছে, নিরাপত্তার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আচরণবিধি তদারকিতে মাঠে রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনি এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন দুটি শূন্য হয়। আইন অনুযায়ী ইসি এসব আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করেছে।

ইসি জানিয়েছে, গাইবান্ধা-১ আসনে চার জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাইবান্ধা-১ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আফরুজা বারী, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া আমান খান ও গণফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১০৬টি ও ভোটকক্ষ ৬৪৭টি। মোট ভোটার তিন লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন।

অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, জাতীয় পার্টির রেজোওয়ান আহমেদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাসেম মুহা. আশরাফুল হক। এ আসনে ৭৪টি কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ ৩৬৪টি। ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১০ হাজার ৪১০ জন ও নারী এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৯ জন।

নির্বাচনি আসনগুলোর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ইসির কর্মকর্তারা জানান, গাইবান্ধা-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের নিরাপত্তায় পুলিশের শতাধিক মোবাইল ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। র‌্যাবের অর্ধশতাধিক টিমও টহল দিচ্ছে। রয়েছে ১৫ প্লাটুন বিজিবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’ সচিব আসন দুটিতে সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।