ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনি এলাকায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। আচরণবিধি তদারকিতে মাঠে রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনি এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এবং সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন দুটি শূন্য হয়। আইন অনুযায়ী ইসি এসব আসনে উপনির্বাচনের আয়োজন করেছে।
ইসি জানিয়েছে, গাইবান্ধা-১ আসনে চার জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাইবান্ধা-১ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আফরুজা বারী, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া আমান খান ও গণফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১০৬টি ও ভোটকক্ষ ৬৪৭টি। মোট ভোটার তিন লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, জাতীয় পার্টির রেজোওয়ান আহমেদ ও ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাসেম মুহা. আশরাফুল হক। এ আসনে ৭৪টি কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ ৩৬৪টি। ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১০ হাজার ৪১০ জন ও নারী এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৯ জন।
নির্বাচনি আসনগুলোর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ইসির কর্মকর্তারা জানান, গাইবান্ধা-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের নিরাপত্তায় পুলিশের শতাধিক মোবাইল ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। র্যাবের অর্ধশতাধিক টিমও টহল দিচ্ছে। রয়েছে ১৫ প্লাটুন বিজিবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’ সচিব আসন দুটিতে সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন।