পরিবেশ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৮৫ কোটি টাকা

পরিবেশ,  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার বরাদ্দ ১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৮৫ কোটি টাকা বেশি। গতবছর বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে দেয়া প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি কেটে ইট তৈরির কাজ বন্ধ হচ্ছে ২০২৫ সালে। এর আগে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মাটির ইটের পরিবর্তে হলো ব্লক ব্যবহার করে বাড়ি বানাতে হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উন্নত দেশগুলোতে ইটের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে মাটি কাটলে পরিবেশের নানা রকম ক্ষতি হয়। এজন্য উন্নত দেশে মাটির ইটের ব্যবহার নেই বললেই চলে। অন্যদিকে ইট পোড়াতে কাঠ এবং কয়লার ব্যবহার করায় বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের শিল্পঘন এলাকায় ১৬টি সার্বক্ষণিক বায়ু মান পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলাফল বায়ৃ মান সূচক ইনডেক্সে নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শব্দ দূষন হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশকে হর্নমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য ইউএনএফ,  সিসিসি বাধ্যবাধকতা অনুসরণে জাতীয় গ্রিন হাউজ গ্যাস ইনভেন্টরি তৈরি ও হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। 

জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র-তীরবর্তী ছোট দ্বীপ ও চরগুলোতে অভিযোজনমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।