টেকসই ঢাকা গড়তে পরিবেশকে প্রাধান্য দিতে হবে : বাপা

টেকসই ঢাকা শহর গড়ে তুলতে গেলে পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েই নগর পরিকল্পনা করা উচিত। 

সোমবার (৭ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের  (বাপা) উদ্যোগে “ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় পরিবেশ ভাবনা” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় পরিকল্পনাবিদ স্থপতি সালমা এ শফির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম। সভায় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, পরিকল্পনাবিদ হিশামউদ্দিন চিশতী বক্তব্য রাখেন।

আদিল মুহাম্মদ মূল প্রবন্ধে বলেন, ড্যাপে থাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য জায়গার সংস্থান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকায় সাবওয়ের মতো উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) আর রাজউকের পরিকল্পনার মধ্যে কিছু সমন্বয়হীনতা আছে। এই সমন্বয়হীনতাগুলো আমলে নিয়ে সেগুলোর সমাধান জরুরি।  তিনি বলেন, আমাদের টেকসই ঢাকা শহর গড়ে তুলতে গেলে পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েই নগর পরিকল্পনা করা উচিত। 

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন,  ঢাকা শহরের খালগুলো দখলমুক্ত করতে হলে সুপরিকল্পিত প্রকল্প হাতে নিতে হবে। কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অন্যায় দখলকে মুক্ত করতে হবে। রাজউককে একটি জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিন্তা করতে হবে। ড্যাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ভূমিদস্যু, নদীখেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। জনবান্ধবতা গড়ে তোলা দরকার। 

আশরাফুল ইসলাম বলেন, রিভাইস ড্যাপে আরেকটু পরিশিলীত হয়েছে। সিএস রেকর্ডে যতগুলো খাল আছে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ৫৬৬ কিলোমিটার জায়গা পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইকোপার্কের পরিকল্পনা করেছি। যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা পরিকল্পনা করেছি। রাজউকের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। একটি জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই আমরা।