লঘুচাপ ভারতের দিকে সরছে, নদীতে ১ নম্বর সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ভারতের দিকে সরে যাচ্ছে। তাই নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে সমুদ্রবন্দরের সর্তকতা সংকেত। তবে ট্রলার ও নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এদিকে নদী বন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সংকেত আগের মতোই আছে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল ও উড়িষ্যায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের মধ্য প্রদেশ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু  বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। 

আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খবর। 

এদিকে নদী বন্দরগুলোর জন্য এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর,  যশোর,  কুষ্টিয়া, খুলনা,  বরিশাল, পটুয়াখালী,  নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য এসব এলাকার বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, লঘুচাপটি ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।