জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে জোর দেওয়ার আহ্বান

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসন্ন ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য এ বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। শনিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চ আয়োজিত পরামর্শ কর্মশালায় এসব অভিমত উঠে আসে।

বক্তারা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, বাস্তুচ্যুতি, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, সুপেয় পানির অপ্রতুলতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে বাংলাদেশের জনগণ। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের কষ্ট অনেক বেশি। শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেক দরিদ্র দেশের জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে বাধ্য হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক বিষয়। তাই সারাবিশ্বকে মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হওয়া সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আইনি সমাধান বের করে উদ্বাস্তুদের রক্ষা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঋণ বা কারও দান নয়, ন্যায্যতা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন।

বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, ‘প্রযুক্তি রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি, এদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। এবারের সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনার সময় আমাদের মতো দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোট করতে হবে।’

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. তারিকুল ইসলাম, মৎস্য ও হাওর জলাশয় বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ আলী আজহার, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, বেলা’র প্রতিনিধি বারিস হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কুদরাত-ই খুদাসহ অনেকে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী।