দেশে শৈত্যপ্রবাহ নেই, তবে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি

দেশে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। তবে শৈত্যপ্রবাহ এখন আর নেই। যদিও শীত ঠিকই বেশি অনুভূত হচ্ছে। কারণ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য এখন কম। রবিবার (২ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, আগামী দুই দিন তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আবহাওয়াবিদরা শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে উল্লেখ করেন। বর্তমানে দেশের মধ্যে শুধু শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে আছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমে হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার যা ছিল ১৫ দশমিক ৬। ময়মনসিংহে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল যা ছিল ১৪।

আজ চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৫ (গতকাল ছিল ১৬ দশমিক ৬), সিলেটে ১৪ দশমিক ৪ (আগের দিন ছিল ১৪ দশমিক ২), রাজশাহীতে ১২ দশমিক ১ (গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৪), রংপুরে ১২ দশমিক ৮ (আগের দিন ছিল ১৩), খুলনায় ১৪ (গতকাল ছিল ১৪ দশমিক ৮) এবং বরিশালে ১২ দশমিক ৭ (আগের দিন ছিল ১৩ দশমিক ৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীত কিন্তু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। কারণ আমাদের দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত আছে এবং সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে।’

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুঙ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।