নৌপথ সংরক্ষণে দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান

নৌপথ সংরক্ষণে দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং নদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় এবং বাস্তবায়নে নদীপাড়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পাশাপাশি দখল করা নদীগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) নদীদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘যোগাযোগ ব্যবস্থায় নদী’ শিরোনামে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের আয়োজনে নদীকথন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বালু নদীর তীরবর্তী ইটাখোলা এলাকায় এই নদীকথনটির আয়োজন করা হয়। নদীকথনে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নদীর গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে নদীকে পুনরুদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের প্রধান শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নদীকথনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, নোঙর বাংলাদেশের সভাপতি সুমন শামস, সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র এবং বারোগ্রাম উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মো. সুরুজ মিয়া। এছাড়াও নদীদূষণ রোধে কাজ করেন এরকম স্থানীয় কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।

শরীফ জামিল বলেন, আদিকাল থেকেই মূল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল নৌপথ। তাই নৌপথকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। এইজন্য দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে এবং নদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় এবং বাস্তবায়নে নদীপাড়ের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

ইবনুল সাইদ রানা বলেন, বড় নৌযানগুলো আর এখন দেখা যায় না কারণ নদীর নাব্যতা কমে গেছে। তাছাড়াও দখল আর দূষণের জন্য নদী তার স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে এবং দূষিত পানিতে পরিণত হয়েছে।

সুমন শামস বলেন, আমাদের দেশের নৌপথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। নড়াই নদী যা ঢাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত, বেগুনবাড়ি খাল নাম দিয়ে নদীটিকে হত্যা করা হয়েছে। এই নদীর পুনরুদ্ধারের দাবি করছি।