কমেনি বায়ুদূষণ, বৃষ্টির অপেক্ষার বিকল্প নেই

চলতি সপ্তাহে বায়ুদূষণের শীর্ষ অবস্থানে উঠে না এলেও পঞ্চম অবস্থানের মধ্যেই ছিল ঢাকা, যা সব সময়ের জন্যই অস্বাস্থ্যকর। দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ঢাকার বেশ কিছু সড়কে পানি ছিটানো হলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ার কারণে কমছেই না দূষণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালুর কণাগুলো আরও ছোট হয়ে আসে, যা বাতাসে দ্রুত মিশে যায়। সড়কের পানি দিয়ে এই দূষণ কমানো গেলেও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই আপাতত প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কমতে পারে এই দূষণ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাইবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমানের হিসাবে চলতি সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনও মাত্র ছিল ১৯০ থেকে ২০০-এর মধ্যে, যাকে বলা হয় অস্বাস্থ্যকর বায়ু। অবস্থান শীর্ষে না থাকলেও ৫-এর মধ্যই ছিল। আজ  (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টা নাগাদ ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম, মাত্রা ছিল ১৫১। সন্ধ্যায় তা নেমে এসেছে ১৪-তে, মাত্রা ১১৪।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছয় ধরনের পদার্থ ও গ্যাসের কারণে ঢাকায় দূষণের মাত্রা সম্প্রতি অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২ দশমিক ৫-এর কারণেই ঢাকায় দূষণ অতিমাত্রায় বেড়ে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাপসের পরিচালক ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালুর কণা আরও ছোট হয়ে আসে। এতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যদিও চলতি সপ্তাহে শীর্ষ অবস্থানে ঢাকা আসেনি। কিন্তু দূষণ ছিল অস্বাস্থ্যকরই।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এখন বৃষ্টি হলে দূষণ কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমন ফারুক বলেন, চলতি মাসের ১৫ মার্চের পর ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবে। এতে তাপমাত্রা ও ধুলাবালু দুটোই কিছুটা কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমকে বলা হচ্ছে ঝড়বৃষ্টির মৌসুম। চলতি মাসে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে একটি তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।