টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশ উপমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, পানি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ। গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে শিল্প, বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন কাজে পানি ব্যবহার করা হয়। তারপরে তা দূষিত এবং পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে পানি ও বর্জ্যপানি শোধনকারী জাপানি কোম্পানি গোশু কোহসানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (১৩ মার্চ) প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘গোশু কোহসান নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কেন্দ্রীভূত পানি শোধনাগার এবং কেন্দ্রীভূত বর্জ্য পরিশোধনকেন্দ্র নির্মাণ করছে। ঢাকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। আমি আশা করি, জাপানি এই কোম্পানি পানির ক্ষেত্রে দূষণ কমাতে সাহায্য করবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোশু কোহসান (ভিয়েতনাম) কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ডিরেক্টর এবং গোশু কোহসান (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. হিসাতো তাকেনা।

ড. হিসাতো তাকেনা বলেন, ‘জলের সর্বোত্তম ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তাই টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও গৃহস্থালি পর্যায়ে প্রত্যেকেরই ভূমিকা রয়েছে। দক্ষ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট শিল্প বর্জ্য জল থেকে জীবাণু এবং বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করে এবং এর পুনরায় ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। এটা করা না হলে নদী ও মহাসাগর দূষিত হবে, জীবন বিপন্ন হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা আশা করি, জাপানি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অন্যান্য বিদেশি কোম্পানিও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, পানি শোধনের ক্ষেত্রে গোশু কোহসান টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একটি টেকসই এবং দক্ষ জল পরিশোধন কাঠামো গঠনের জন্য আমরা সম্প্রতি কাজ শুরু করেছি।’

গোশু কোহসান বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড গোশু কোহসান (ভিয়েতনাম) লিমিটেডের একটি স্থানীয় শাখা সংস্থা। তারা বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য জল শোধনাগার ও বর্জ্য শোধনাগারকেন্দ্র স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এরফান শরীফ ও ডিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ।