শব্দ দূষণমুক্ত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চাই: শাহাব উদ্দিন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের মানুষকে শব্দ দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা শহরে সকাল ১০টা ১ মিনিটে শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন,  ‘শব্দ দূষণমুক্ত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চাই।’

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়।

শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘শুধু দূষণমুক্ত পরিবেশ নয়, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ফলে মানুষের প্রয়োজন নিশ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সুফল মানুষ ভোগ করছে।’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বড়লেখায় অন্তত ৭০ হাজার মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার আওতায় এনেছে বর্তমান সরকার। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’

সভায় বলা হয়, গত পাঁচ বছরে বড়লেখা উপজেলার ৪০ হাজার ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং বিনামূল্যে সার-বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, সামাজিক নিরাপত্তাকর্মসূচির (ভিজিডি) আওতায়  ৪ হাজার ৬৫৬ জন নারীকে ২৭শ’ মেট্রিক টন চাল প্রদান, মা ও শিশু কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ৩১০ জনকে ৭ কোটি এক লাখ ৪২ হাজার টাকা প্রদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অধিদফতরের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪৬৯টি ঘর নির্মাণ, সমাজসেবা কার্যালয়ে অধীনে সামাজিক নিরাপত্তাকর্মসূচির আওতায় ২১ হাজার ৮১০ জন উপকারভোগীর মাঝে বিভিন্ন খাতে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।’

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন— বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী এবং উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান মো. তাজউদ্দীন প্রমুখ।