‘জলবায়ু তহবিল পেতে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে’

প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কপ-২৮ এ কার্যকর লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড দ্রুত পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এজন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে ‘জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৮): প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এই তহবিলে এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ মোট ৭৯২ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ফান্ড ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে। নতুন তহবিলটি প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত। আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ। প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ। বিষয়ভিত্তিক তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং পরিচালক মির্জা শওকত আলী।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবার কপ-২৮ এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের চেষ্টায় এবার ‘ইউএই ফ্রেমওয়ার্ক ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ গ্রহণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল প্রভাব, ঝুঁকি এবং দুর্বলতা হ্রাস করা, সেইসঙ্গে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম এবং সহায়তা বৃদ্ধি করা। ‘ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন জাস্ট ট্রাঞ্জিশন পাথওয়ে’র কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ‘লো জিএইচজি এমিশনস অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভেলপমেন্ট’ পথের সঙ্গে জলবায়ু অর্থায়ন প্রবাহ সামঞ্জস্যপূর্ণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন,  এবারের কপ-২৮ সম্মেলনে জলবায়ু বিষয়ক কর্মকাণ্ডে নেতৃস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশকে ‘ইনোভেশন ইন ডিভলভিং ফাইন্যান্স’ বিভাগে ‘জিসিএ লোকাল অ্যাডাপ্টেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড’  প্রদান করা হয়েছে, যা স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উদ্ভাবনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।