বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা গড়তে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। বেলাতে কাজ করে খ্যাতি পান পরিবেশ এবং বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। মানুষকে একবার ব্যবহার করা প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ভয়ংকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে থাকেন। একই সঙ্গে বনের জমি ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার, বনের জমিতে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্প বন্ধ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তিনি এসব নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলছেন, সব করা সম্ভব। সবগুলোর বিকল্প আছে। কেবল নিজেকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে, অভ্যাসটা বদলাতে হবে।
ফ্রিজে পলিথিনে পেঁচিয়ে মাছ-মাংস রাখলে সেখান থেকে প্লাস্টিকের কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মায়েদের ক্ষেত্রে এই বিপদ আরও ভয়াবহ। মায়ের শরীর থেকে প্লাস্টিকের অণুকণা শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। যা ভয়ংকর সব রোগের কারণ হতে পারে।
রিজওয়ানা হাসান বলছেন, বাসায় মায়েরা-গৃহিণীরা পলিথিনে পেঁচিয়ে মাছ-মাংস রাখেন ফ্রিজে, এটাতে কী পরিমাণ প্লাস্টিকের দূষণ হয় তা হয়তো তারা জানেনই না। এদিকে প্লাস্টিকের কাপে চা কফি খাওয়া এখন খুব সাধারণ বিষয়, এতেও স্বাস্থ্যের ভয়াবহ ক্ষতি হয়।
তাছাড়া, আমাদের শিক্ষা ও লেখার কাজে প্রতিদিন কলম ব্যবহৃত হয়। আগে এক সময় দোয়াতে কলম ডুবিয়ে তারপর সেই কালিকে লেখা হতো। এখন সেখানে বল পয়েন্ট পেন এসেছে। একজন ছাত্র গড়ে তিন দিনে একটি কলম ব্যবহার করলে বছরে ১২১টি কলম ব্যবহার করে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সারা বিশ্বে বছরে এমন সিঙ্গেল ইউজ পেন কত হাজার কোটি ব্যবহার হয় তার সংখ্যা কেউ জানে না।
ব্যবহারের পর প্লাস্টিকের এই কলমগুলো আমরা ফেলে দিচ্ছি। ফেলে দেওয়া এসব কলম শত শত বছরেও মাটির সঙ্গে মিশে না। এসব কলম মাটি দূষণ করছে। কিন্তু এর বিকল্প হিসেবে আমরা অন্য কিছু করতে পারতাম। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে গড়ে তোলা দরকার।
রিজওয়ানা হাসান বলছেন, দুই-একটা জায়গায় আমরা ঠেকে যাই। এর একটা হচ্ছে কলম। যারা বাংলাদেশে বড় হয়েছে তারা কিন্তু বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েট পাস করেনি। যাদের এখন মানুষ দেশে আইকন ভাবেন, বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল ইত্যাদি পেশায় কাজ করে যাচ্ছেন, তারা প্রত্যেকে দোয়াতের কালি-কলম দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষায় স্ট্যান্ড করেছেন। এখন বলপয়েন্ট ছাড়া চলছে না, এটাও অভ্যাসের ব্যাপার।
এদিকে আবার একটা ভালো দিকও আছে। এখন আমাদের আগের মতো লিখতে হয় না। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ ফোনেই লিখে ফেলেন। কম্পিউটারেও কম্পোজ করা হয়। কেবল আপনাকে সাইন করতে হয়। আমরা যদি আমাদের প্রতিদিনের লেখাগুলো পেন্সিলে লিখি, তাহলে কিছু সমাধান হয়। তবে প্রশ্ন আসবে পেন্সিলও তো কাঠের তৈরি। তবে সেক্ষেত্রে কিছু কিছু দ্রুত বর্ধনশীল গাছ আছে, সেটি দিয়ে এটা সামলানো সম্ভব।
পরিবেশ উপদেষ্টা প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়ার অভ্যাসের বদলের কথাও জানান। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাচের বোতল স্বাস্থ্যসম্মত। এর বাইরে তিনি কটনবাড ব্যবহার নিষিদ্ধে সরকারের চিন্তার কথা বলেন। সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তিনি এ নিয়ে বলেছেন।
তিনি বলেন, চীন ও জাপানে বাইরে কাজ করছেন এমন নাগরিকরা স্টিল বা কাচের বোতলে পানি নিয়ে আসেন। প্রয়োজনে তারা নির্ধারিত জায়গা থেকে আবার পানি ভরে নেন। কিন্তু আমাদের দেশে এই অভ্যাস গড়ে উঠছে না। মানুষ পানির প্রয়োজন হলে রাস্তার ধারের দোকানে হাত বাড়াচ্ছে। পানি পানের পর বোতলটা ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন। এভাবে প্রতিদিন প্ল্যাস্টিক ব্যবহার করে আমরা ডুবে যাচ্ছি বর্জ্যের ভাগাড়ে।
কালো ধোঁয়া ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ, বন্ধ হচ্ছে ইটভাটা
পরিবেশ উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর গতি এসেছে পরিবেশ রক্ষায়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিবেশ অধিদফতর সারা দেশে গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া, অবৈধ ইটভাটা, বায়ুদূষণকারী স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, সিসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণসামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ৭৯৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়েছে। এসময় ১৭০০টি মামলার মাধ্যমে ২৩ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসাথে ৪৫৪টি ইটভাটার চিমনি ভাঙাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২১০টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়, ১২৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস, ১টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একজনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ট্রাক সিসা ও ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাটি বন্ধ করা হয়।
পলিথিন বন্ধে জিহাদ ঘোষণা
গত ৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৩৭৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৬৮৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ জব্দ করা হয় ১ লাখ ৬৯ হাজার কেজি পলিথিন।
খাল আর নদী উদ্ধার
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খাল আর নদী উদ্ধারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এর বাইরে ঢাকার খাল উদ্ধারসহ সারা দেশের নদ-নদী উদ্ধার এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বনের জমি উদ্ধার
সারা দেশে বন বিভাগের কত জমি বেদখল রয়েছে তার তালিকা রয়েছে বন বিভাগের প্রত্যেক দফতরে। কিন্তু অতীতে রাজনৈতিক চাপে এসব জমি উদ্ধারে সরকার বেশি এগোতে পারেনি। কিন্তু এখন বন বিভাগ নিজের জমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই কার্যক্রম চলতে থাকলে মানুষ বনের জমি দখল করতে ভয় পাবে। গত মার্চ মাসেই ২৫১ একর বনের বেদখল জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭১৭ একর বনের জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ছাড় নেই প্রভাবশালীদের
কৌশলে বনের জমি ইজারা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শহীদ এটিএম জাফর আলম ক্যাডেট কলেজের অনুকূলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং মৌজায় ১৫৫.৭০ একর সংরক্ষিত বনাঞ্চল বিগত সরকার বন্দোবস্ত দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার বনের ওই জমি বনের কাছেই ফিরিয়ে দিয়েছে।
বনের জমিতে সরকারি প্রকল্পেও না
গণহারে বনের জমিতে সরকারি প্রকল্প নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল সাবেক সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এর সবগুলো বাতিল করেছে। বাতিল হয়েছে লোকপ্রশাসন অ্যাকাডেমি স্থাপনে কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজার ৭০০ একর, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) 'টেকনিক্যাল সেন্টার' নির্মাণে কক্সবাজারের রামু উপজেলার জঙ্গল খুনিয়াপালং মৌজায় ২০ একর সংরক্ষিত বনভূমির বরাদ্দ। এছাড়া কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমিতে বন বিভাগের সৃজন করা বাগান, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে দেওয়া বরাদ্দ বাতিল করা হয়। ওই জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের মীরসরাই রেঞ্জের আওতাধীন বেজার অনুকূলে বন্দোবস্ত দেওয়া ২২ হাজার ৩৩৫ একর বনভূমির মধ্যে গাছপালা বিদ্যমান ৪ হাজার ১০৪ একর অব্যবহৃত বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দিতে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রধান বনসংরক্ষকের দফতর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পাখি আমদানিতে নিতে হবে অনাপত্তি সনদ
বিপন্ন বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কনভেনশনে (সাইটিস) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সাইটিস বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে জোরদার করতে সাইটিস অ্যাপেন্ডিক্সভুক্ত পাখি আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সাইটস পারমিট/সনদ ও এনওসি (অনাপত্তি সনদ) ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বন্যহাতি সুরক্ষার বিশেষ উদ্যোগ
অনেক সময় বন থেকে লোকালয়ে এসে হাতি মানুষের সম্পদ বিনষ্ট করে। ওই সময় গ্রামের মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে হাতি হত্যা করে। আবার হাতির চারণভূমির মধ্য দিয়ে রেললাইন থাকায় দুর্ঘটনায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। বন উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই চিত্র বদলে দিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বাংলাদেশে বিচরণরত বন্যহাতির যথাযথ সুরক্ষা, অবাধ চলাচল নিশ্চিতসহ বন্যহাতি সংক্রান্ত অপরাধ দমন করতে হাতি অধ্যুষিত এলাকায় ৬টি বিশেষ দল গঠন করেছেন। চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী সংলগ্ন এলাকায় হাতির সুরক্ষা এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও কোরিয়ান ইপিজেড এবং শেরপুরের ইআরটি সদস্যদের হাজিরা ভিত্তিতে দৈনিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণীর আক্রমণের শিকার হলেই মিলছে ক্ষতিপূরণ
মানুষ-বন্যপ্রাণী দ্বন্দ্ব নিরসনে বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ৪৯৪ জনকে মোট দুই কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
উদ্যানে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে
বন বিভাগ বলছে, মাটি, পানি এবং পরিবেশের বড় শত্রু প্লাস্টিক। উদ্যানে নির্বিচারে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধের চিন্তা ছিল বহুদিনের। তবে এবারই তা আলোর মুখ দেখেছে। এবারই জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক এবং উদ্ভিদ উদ্যানে প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সব ধরনের বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পূর্বাচলের ১৪৪ একর জায়গা বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হচ্ছে
পোষ মানানো হাতি নিয়ে শহর থেকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে চাঁদাবাজি খুব সাম্প্রতিককালে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখা হতো। উৎসুক মানুষের হাতি দেখার সাধ মেটানোর বদলে বন্যপ্রাণীকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হতো। এসব নিয়ে কেউ আগে কাজ করেনি। তবে এখন এই প্রথা রুখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বন মন্ত্রণালয়। মন চাইলেই হাতি নিয়ে রাস্তার আর চাঁদাবাজি করতে নামা যাবে না। বন বিভাগ বলছে, সরকারের নির্দেশনায় সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি কাজে ব্যবহার ও মাহুতের নির্যাতনের শিকার তিনটি পোষা হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি হাতি রাখার লাইসেন্সও বাতিল করা হয়।
চুরি যাওয়া বন্যপ্রাণী উদ্ধার
সূত্র বলছে, গত ২৩ মার্চ রাত থেকে ২৪ মার্চ ভোর পর্যন্ত সময়ে গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে ৩টি (একটি স্ত্রী ও দুটি পুরুষ) রিংটেইল লেমুর চুরি হয়, যার মধ্যে সাফারি পার্ক থেকে চুরি যাওয়া একটি লেমুর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সরাসরি নির্দেশনায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। উদ্ধার করা লেমুরটি বর্তমানে গাজীপুর সাফারি পার্কে রয়েছে এবং বাকি দুটি লেমুর উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।