ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তর জরুরি

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তর এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে জ্ঞান-নির্ভর তরুণদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য বলে মনে করেন বক্তারা।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে ‘এনার্জি টক: ইয়ুথ ফর জাস্ট ট্রানজিশন’ শিরোনাম সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে— ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ব্রাইটার্স, ক্লাইমেট ফ্রন্টিয়ার, ইকো নেটওয়ার্ক, এনভায়রনমেন্টাল সেপার্স নেটওয়ার্ক, গ্লোবাল ল’ থিঙ্কারস সোসাইটি (জিএলটিএস), মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, ওএবি ফাউন্ডেশন, সচেতন ফাউন্ডেশন, ইয়ং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ইউক্যান), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।

ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ)-এর লিড এনালিস্ট শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে আমদানি-নির্ভর জ্বালানি শক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কার্বণ-নিঃসরণ কমিয়ে জ্বালানি চাহিদা মেটানো। আমরা বাসাবাড়িতে সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।’

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন তারা

সেন্টার ফর রিনিউএবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরইএসএল) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের গ্যাসের চাহিদা বাড়তেই থাকবে, তারপর কমবে। আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও দেখছি সরকার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভবিষ্যতে আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবো। কিন্তু তখন আমাদের সরকারকে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে।’

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু যোদ্ধা হতে হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’ তিনি জলবায়ু যোদ্ধা হিসেবে কার্যক্রমের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে ধারণা দেন। এছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণ ও প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও জলবায়ু আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিদ্যমান জ্বালানি অবস্থা, প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা, নীতিগত চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।