এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্পিকার ও মন্ত্রীদের শোক

একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও মন্ত্রীরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শনিবার (২০) সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।

ওই শোক বার্তায় স্পিকার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া দেশবরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিভাবান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি এক শোক বার্তায় প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তথ্যমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, ‘সর্বজন নন্দিত শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান তার অনন্য অভিনয়শিল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।’

এদিকে এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

দেশবরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। মন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় মন্ত্রী বলেন, ‘এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এই নক্ষত্র নিভে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতা তৈরি হলো। কিংবদন্তি এ অভিনেতা দীর্ঘকাল সৃজনশীল অভিনয় উপহার দেওয়ার জন্য দেশের মানুষের স্মৃতির পাতায় অনন্তকাল স্থান পাবেন।’

এটিমএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এক শোক বার্তায় তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণকারী এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার জন্য। অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় আসেন।